রাশিয়ার রূপকথা নিয়ে সম্ভব-অসম্ভবের সীমানা পেরিয়ে এক অলৌকিক কল্পজগৎ তৈরি করে আমাদের পরিচিত পৃথিবীকে ভিন্ন রংয়ে রাঙিয়ে দেয় যে গল্পগুলো, তারই নাম তো রূপকথা। তাই তো আমরা রূপকথার কাহিনিতে দেখি দুধের নদী, ক্ষীরের সাগর। আর দেখি, গাছেগাছে ঝুলে আছে মণিমুক্তোর ফল। পশুপাখিরা সেখানে মানুষের মতোই নানান কাজকর্মে রত। ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, শুভ আর অশুভে সেখানে বয়ে চলেছে তাদের দ্বন্দ্বময়, ছন্দময় জীবন। নানা সংঘাতপর্ব পেরিয়ে সেখানে শুভশক্তির জয় হয়, আর অন্যায়ের ধারকেরা হয় পর্যুদস্ত। পৃথিবীর সব রূপকথার গল্পে এটাই মূল সুর। ‘রাশিয়ার রূপকথা’ বইটিতে রহীম শাহ এ ধরনের কয়েকটি গল্পের অনুবাদ ও সঞ্চয়ন করে শিশুকিশোর পাঠকদের সামনে তুলে ধরেছেন।
এসব গল্প পড়ে ভাষান্তরেও আমরা পাই মূলের আস্বাদ। আর রহীম শাহ-র নিজস্ব ভাষাশৈলী তো আছেই। বইটি আমাদের শিশুকিশোর পাঠকেরা সাগ্রহে পড়বে, শুধু তাই নয়, অশুভের বিরুদ্ধে শুভশক্তির পক্ষে নির্ধারিত করে নেবে তাদের অবস্থান।
রহীম শাহ
রহীম শাহ। ০৩ অক্টোবর ১৯৫৯ সালে চট্টগ্রামের পশ্চিম বাকলিয়ায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বাংলা শিশুসাহিত্যে এখন উল্লেখ করার মতো একটি নাম। উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর ঘরানার এই লেখক পরম মমতায় শিশুসাহিত্য রচনা করে চলেছেন। দীর্ঘ চার দশক ধরে উজ্জ্বলতর করে তুলেছেন শিশুসাহিত্যকে। পেয়েছেন পাঠকপ্রিয়তাও। প্রধানত শিশুকিশোর সাহিত্যের লেখক। ১৯৭০ সাল থেকে লেখালেখি শুরু। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি পত্রপত্রিকার নিয়মিত লেখক। এ পর্যন্ত প্রকাশিত তার গ্রন্থসংখ্যা শতাধিক। সাহিত্যকর্মের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন থেকে সম্মানিত হয়েছেন। ইতোমধ্যে তিনি অগ্রণী ব্যাংক শিশু একাডেমি পুরস্কার, অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান স্বর্ণপদক, কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ পুরস্কার, জসীম উদ্দীন স্মৃতি পুরস্কার, কবি গোবিন্দচন্দ্র দাস সম্মাননা, কবি কাজী কাদের নওয়াজ স্মৃতি স্বর্ণপদক, নওয়াব ফয়জুননেসা স্বর্ণপদক, আবদুল আলীম স্মৃতি পুরস্কার, নেতাজি সুভাষ বসু পুরস্কার, মাওলানা ভাসানী স্মৃতি পুরস্কার, পালক অ্যাওয়ার্ড, শিশু-কিশোর নাট্যম পুরস্কার, আমরা কুড়ি শিশুসাহিত্য পদক, আরশীনগর সংস্কৃতি পদক, চন্দ্রাবতী একাডেমি শিশুসাহিত্য সম্মাননা, সালিম আলী স্মৃতি পরিবেশ পদক, কথন শিশুসাহিত্য পুরস্কার, প্রতীকী ছড়াসাহিত্য পুরস্কার, অন্নদাশঙ্কর রায় স্মৃতি পুরস্কার (ভারত)।