সায়ানের খুনটা বড় আচানক ঘটল। ওরা পাইলট মডেল স্কুলের সাথে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে, ঠিক তখনই এই অঘটন। গুগলি-মাস্টার সায়ান খুনের পেছনে কলকাঠি নাড়ল কে! মারলই-বা কী করে! পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এলো, বিষাক্ত মাকড়সা ট্যারান্টুলা ওর মৃত্যুর কারণ।
সায়ানের বন্ধু এশা, রতন, শিমুল ও রায়ান মিলে খুঁজছে সায়ানের নিষ্ঠুর খুনিকে। হঠাৎই খবর এলো, মাকড়সার বিষে মারা পড়েছে একটি কুকুর। যে সে কুকুর নয়, পুলিশের ডগস্কোয়াডের সদস্য হিংস্র জার্মান শেফার্ড। ঘটনা এবার অন্যদিকে মোড় নেয়। পুলিশ প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। সায়ানের কেস নিয়ে লড়ছে এশা ও তার বন্ধুরা, যে কিনা শার্লক হোমস গুলে খেয়েছে। তারপর ঘটতে থাকে ভয়ংকর সব ঘটনা। সায়ানের পড়ার ঘরে ওরা খুঁজে পায় একখানা ডায়েরি। কীসব লেখা! ঘটনায় যোগ দেয় দোকানি ফটিক ও মধ্যরাতের ছড়াকার! সায়ানের খুনিরা ধরা পড়বে তো?
অরুণ কুমার বিশ্বাস
অরুণ কুমার বিশ্বাসের জন্ম ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৭৭ গােপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়ায় জহরের কান্দি গ্রামে। এসএসসি ইস্ট কোটালীপাড়া ইউনিয়ন হাই স্কুল, ১৯৯৩। এইচ,এস,সি নটরডেম কলেজ, ঢাকা, ১৯৯৫। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে সম্মানসহ এম এ, ২০০১। মেধার স্বীকৃতি হিসেবে নটরডেম কলেজ থেকে পেয়েছেন অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সেলেন্স। শুল্ক বিভাগের ডেপুটি কমিশনার এই লেখক সম্প্রতি ইংল্যান্ডের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত লন্ডন মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিউম্যান রিসাের্স ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স ডিগ্রী (পাস উইদ মেরিট) অর্জন করেন। ব্র্যান্ড একুইটি মডিউলে পান ডিসটিশন নম্বর। কলেজে পড়ার সময় থেকে নিয়মিত লিখছেন। ছড়া, কবিতা, ছােটগল্প, উপন্যাস, রম্যরচনা, গােয়েন্দা কাহিনী । উল্লেখ্য, কিশাের উপন্যাসে তিনি বিশেষ স্বচ্ছন্দ। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা পঁচিশ বলতে গেলে পাড় পাঠক তিনি। বিশ্বসাহিত্যের সকল ভাষা ও শাখায় বিচরণ করে অমিত আনন্দ পান। গর্সিয়া মার্কেজ থেকে দস্তয়েভস্কি, এরিস্টটল থেকে স্টিফেন হকিংস, তদুপরি বাংলা সাহিত্যের অফুরান রসভাণ্ডার তাকে সারাক্ষণ আবিষ্ট করে রাখে। তিনি লিখতে ভালবাসেন, তবে পাঠের আনন্দ অবিমিশ্র, অসীম।ভ্রমণ তার প্রিয় শখ, খানিকটা নেশার মতাে। নতুন দেশ, নতুন মানুষ তার গবেষণার বিষয়। ভ্রমণ করেছেন ইংল্যান্ড, ওয়েলস, দুবাই ও সাউথ আফ্রিকা। জীবনটাকে স্রেফ সরাইখানা মেনে কোথাও শেকড় গেড়ে থিতু হবার বাসনা নেই একদম । এমনি করে যায় যদি দিন যাক না!