চিঠিটা পড়ে অনন্ত চুপ হয় রইলো।তার শরীরের রক্ত হিম হয়ে বরফের মতো জমে গেলো।চিঠি উল্টে পাল্টে দেখলো;না কোথাও কোনো ঠিকানা নেই।চিঠিটা পড়ে সব অতীত মনে পড়ে যায়।বারবার রশ্মির কথা মনে হয়।কিন্তুু রশ্মি কিভাবে হবে?গেছে দেড় বছরে তার সাথে একবার ও যোগাযোগ হয়নি।কোথায় থাকলো তাও জানেনা।কোনোক্রমেই বুঝতে পারে না যে কে হতে পারে?খুব ভাবিয়ে তোলে।চিঠিটা পড়ার পর থেকেই সারাদিন নানা ভাবনা কাজ করতে থাকে।ঠিকানা থাকলে হয়তো প্রতিউত্তরে কে সে জানার চেষ্ঠা করা যেতো!সেটা তো সম্ভব ই না।যতোই ভাবে সব ঘোলাটে লাগে।দিন চলে যায় রাত হয়,কিন্তুু ভাবনার শেষ হয়না।রাত বাড়তে থাকে অনন্ত বিছানায় যায়;কিন্তুু ঘুম নেই চোখে।একটি মাত্র চিঠি ই চোখের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।তাই বিছানা থেকে উঠে টেবিলের উপর থেকে দেয়াশলাই আর সিগারেটের প্যাকেট নিয়ে বেলকনিতে চলে যায় অনন্ত।
অনন্ত বেলকনিতে বসে সিগারেট খাচ্ছে!
আর ভাবনাগুলোকে সিগারেটের ধোঁয়ার সাথে বাষ্প করে দিচ্ছে। একের পর এক সিগারেট শেষ করছে।তবুও ভাবনার অবসান হচ্ছে না।
হঠাৎ চোখ পড়লো সামনের বাসায়। কে যেনো রুমের জানালার গ্রিলের পর্দা সরিয়ে এদিকে তাঁকিয়ে আছে।রুমে লাইট জ্বালানো!
দেখা যাচ্ছে শাড়ী পরিহিত কোনো এক রমণী।
জানালার গ্রিল ধরে নিঃসঙ্গ,একাকী অবাক দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে আছে।
খুব শ্রীঘ্রই প্রেসে যাচ্ছে আমার আরো একটি বই!
গল্পগ্রন্থ"সে ও সেই দিনগুলি" আশা রাখি বইটি ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলবে।
বই: সে ও সেইদিনগুলি