উপন্যাসটি সার্বিকভাবে কিছু সম্পর্কের গল্প। এই সম্পর্কগুলাে যেমন প্রচলিত, তেমনি অপ্রচলিতও বটে। জয় এবং জয়ন্তীর দাম্পত্যজীবনকে কেন্দ্র করে উপন্যাসের আখ্যান রচিত। এই দাম্পত্য খানিকটা হাইপােথেটিক্যাল হলেও বাস্তবতা বিবর্জিত নয়। তবে সবকিছুর সঙ্গে যে বিষয়টি এই উপন্যাসে প্রাধান্য পেয়েছে, তা হলাে— বিশুদ্ধতা বা পরম সৌন্দর্য। সুন্দরের ধারণাও ব্যক্তি-স্থান-কাল-পাত্র দ্বারা সংজ্ঞায়িত। কিন্তু বিশুদ্ধ সন্দর এ সবকিছুর ঊর্ধ্বে। মানুষ তার বিবর্তনের ইতিহাসে সুন্দরের একটি ধারণা নির্মাণ করেছে। যার সঙ্গে হয়তাে বা সৌন্দর্যের তত্ত্বটি মিলবে না। সেতারে মালকোশ উপন্যাসে সেই বিশুদ্ধ সৌন্দর্যের ধারণাটিকেই ফুটিয়ে তােলা হয়েছে। পরম কোনাে কিছুই আসলে বাস্তবের অনুগামী নয়; অন্তত মানুষ যে বাস্তব তৈরি করেছে। পরমের একটি নিজস্ব ধারা আছে, সবসময় সমাজ বা পৃথিবী সেটা ধারণ করতে পারে না, সমাজের মতে তা সুবিধাজনকও নয়।
মারুফ রসূল
মারুফ রসূল।
জন্ম: ১৯ ফাল্গুন, ১৩৯৩: ০৩ মার্চ, ১৯৮৭, ঢাকায়।
লেখাপড়া: গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। রক্তকিংশুক তার অষ্টম উপন্যাস।
প্রকাশিত অন্যান্য উপন্যাসগুলাে: একটি উপন্যাসের গল্প(২০১১), শূন্যের ভেতর ঢেউ (২০১২), হৃদয়দানিতে শ্বেত অপরাজিতা(২০১৩), ছায়াপথিকের বাতিঘর(২০১৪), রন্দ্রপ্রহর(২০১৫), কাঁচা দুধের গন্ধ (২০১৭), আনন্দী (২০১৮), মুহূর্ত থামাে, তুমি সুন্দর (২০১৯)। ২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলনের বক্তব্য-বিবৃতি ও স্মারকলিপিগুলাে নিয়ে তাঁর সম্পাদিত গ্রন্থ গণজাগরণ মঞ্চ থেকে বলছি প্রকাশিত হয় ২০১৫ সালে।