প্রোগ্রামিং একটি শৈল্পিক ব্যাপার, বিনোদনের অপর নাম। কিন্তু আমাদের দেশে প্রোগ্রামিংকে চিরতার মত তিক্ত করে তোলা হয়েছে। বিনোদনবিহীন একাডেমিক জীবন ও সিনট্যাক্সের গ্যারাকলে পড়ে নতুনদের অনেকেই প্রোগ্রামিং থেকে বিবেচনা করলে, পাইথন বিগিনার ফ্রেন্ডলি ল্যাঙ্গুয়েজ। এটাকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেন পাইথনে লেখা কোড সহজে বোঝা যায়। তাই পাইথন খুবই সহজবোধ্য প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। পাইথন কো পড়া আর ইংরেজি পড়া একই জিনিস। মনেই হয় না যে এটা কোনো প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুরেজ। সে জন্য পাইথনে কোড লেখা বিনোদনেরই অপর নাম। একটা কাজের সাথে যখন বিনোদন যোগ হয়, তখন সেই কাজটা আমাদের মস্তিষ্ক অনেক দ্রুত গ্রহণ করতে পারে। তাহলে আর ভয় কী? পাইথন দয়ে প্রোগ্রামিং শেখা শুরু হোক নতুন উদ্যমে।
বইটির নামকরণ প্রসঙ্গে
অনেকের কাছেই মনে হতে পারে বইটি হয়ত সহজ ভাষায় পাইথন সিরিজের তৃতীয় বই। আসলে ব্যাপারটা তা নয়। খোলা বাজারে পাইথনের মেজর দুইটা ভার্সন পাওয়া যায় - পাইথন-২, পাইথন-৩। ভার্সন দুইটার ভিতরে মেজর পার্থক্য যথসামান্য। কিন্তু দুৎখের বিষয় হল, আসছে ২০২০ সালে পাইথন-২ এর জীবনাবসান ঘটবে। সুতরাং পাইথন-৩ হল পাইথনের বর্তমান ও ভবিষ্যত। এখন কেউ পাইথন শেখা শুরু করলে তার জদন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে পািইথন-৩ শেখা। আর এই বইটি পাইথন-৩ এর উপর লেখা বলে এর নামকরণ করা হয়েছে সহজ ভাষায় পাইথন ৩’।
বইটি কাদের জন্য?
আমরা যারা কম্পিউটারের মৌলিক ব্যবহার জানি না।
আমরা যারা পাইথন-৩ নয়, আইথন-২ শিখতে চাই।
আমরা যারা ইতিমধ্যেই পাইথন-৩-এর সবকিছুই পারি।
বইটি কীভাবে ব্যবহার করতে হবে?
বইটি পড়ার সময় প্রতিটি টপিক বুঝে পড়তে হবে, মুখস্থ করার দরকার নেই।
বইটির চ্যাপ্টারগুলো এলোমেলোভাবে না পড়ে ধারাবাহিকভাবে পড়তে হবে। করাণ বোঝার সুবিধার জন্য অনেক বিষয় প্রথম দিকে আলোচনা না করে পরবর্তী সময়ে বিস্তারিতভাবে বোঝানো হয়েছে।
প্রোগ্রামিং হলো হাতেকলমে করার জিনিস। তাই প্রতিটি উদাহরণ দেখার পাশাপাশি নিজে নিজে রান করে দেখতে হবে।
প্রোগ্রামিং হলো চর্চা করার জিনিস। তাই প্রতিটি টপিকে দেওয়া সমস্যাগুলো নিজে নিজে অনুশীলন করতে হবে।
লেখকের কথা:
এই বইয়ের সূত্রপাত গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দকে। আদর্শ থেকে খািইরুল ইসলাম (পলাশ) ভাই আমার সাথে ক্ষুদে বার্তায় যোগাযোগ করে বলেন, আসছে বইমেলায় আমরা আপনার েএকটি বই প্রকাশ করতে চাই। আমি একটু দ্বিধায় পড়ে গেলাম। কারণ বইমেলার তখন চার মাস বাকি। আর প্রকাশনীকে এক মাস সময় দিলে বই লেখার জন্য মাত্র তিন মাস সময় পাওয়া যাবে। তিন মাস একটা বই লেখা বয়ানক কটিন ব্যাপার।
এ রকম দ্বিধাদ্বন্দ্বের ভেতরেই অক্টোবর মাস থেকে গিটবুকে পােইথনের ওপর একটা অনলাইন বইৎ লেখা শুরু করি। বেশ কয়েকটা চ্যাপ্টার লেকা হয়ে গেলে বইয়ের ড্রাফট ভার্সন python.maateen.me- তে পাবলিশ করি। তখন পর্যন্ত ব্যক্তিগতভাবে বই ছাপানোর কোনো ইচ্ছা আমার ছিল না। আমার শুধু একটাই উদ্দেশ্য ছিল- পাইথনকে সহজ -সরল ও বিনোদনমূলক করে মানুষের কাছে তুলে ধরা।
কীভাবে যেন অনলাইন বইটা রাতরাতি জনপ্রিয় হয়ে গেল। অনেক গুণী মানুষ বইয়ের মানোন্নয়নের জন্য খুদে বার্তা ও ই-মেইলে বিভিন্ন পরামর্শ দিলেন বেইটা প্রকাশ করার জন্য; যাতে বইয়েল কপিরাইট বিপর্যয়ের মুখে না পড়ে। াবশেষে শভাকাঙ্ক্ষীদের অনুরোধ উপেক্ষা করতে না পেরে ডিসেম্বরের শেষে আদর্শর কাছে পাণ্ডুলিপি হস্তান্তর করি।
একটি বই লেখা সহজ কাজ নয়। নিজের ব্লগে বা ফেসবুক টাইমলাইনে যা খুশি তা-ই লেখা যায়, কিন্তু বইয়ে প্রতিটি শব্দ ভেবেচিন্তে লিখতে হয়। জানি না, আমি কতটুকু পেরেছি। অতি স্বল্প সময়ে হয়তো সবকিছু সেভাবে গুছিয়েও লিখতে পারিনি। সম্পাদনার সময়ে অনেক ভুলত্রুটি পরিমার্জন করা হলেও ্খনো কিছু ত্রুটি থেকে যেতে পারে। তবে এসব ভুলত্রুটির দায়ভার সম্পাদক ও প্রকাশকের । বইটি পড়ে যদি একজন মানুষও উপকৃত হয়, তবে তার মাকসুদুর রহমান মাটিন