অধ্যাপক এম কবির উদ্দিন আহমদ ছিলেন একজন শল্যচিকিৎসক বা সার্জন। তিনি ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। কবির উদ্দিন সব সময় প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনার সাথে জড়িত ছিলেন। ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তার মনোজগতে যে চিন্তা-চেতনার ব্যাপ্তি ঘটে তারই ধারাবাহিকতায় রাজনীতি, গণ-আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ তাকে আকর্ষণ করে। আর সে কারণেই কবির উদ্দিন নীরবে-নিভৃতে দেশ, মাটি ও মানুষের কল্যাণে গড়ে তুলেন অনেক কীর্তিগাথা। কবিরের এসব কীর্তিগাথার কাহিনী নিয়েই আলোচ্য গ্রন্থ। তবে বইটিতে কাহিনীর বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ না করে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রামাণ্যদলিল উপস্থাপন করা হয়েছে। কবির ছিল একজন দক্ষ সংগ্রাহক। স্কুলের মানি রিসিট থেকে শুরু করে নানা গুরুত্বপূর্ণ ও দুর্লভ দলিলও তার সংগ্রহে ছিল। উক্ত বইটিকে তথ্যবহুল করার জন্য তার এইসব দলিলপত্র হুবহু প্রকাশ করা হয়েছে।
এম আর মাহবুব
এম আর মাহবুব ১৫ অক্টোবর ১৯৬৯)এর পিতৃভূমি নরসিংদী জেলার মনােহরদী উপজেলার চর। আহম্মদপুরে। ব্যবস্থাপনা শাস্ত্রে স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর। কর্মজীবনের শুরুটা, সাংবাদিকতার মাধ্যমে। কিছুদিন অধ্যাপনার কাজে নিয়ােজিত ছিলেন। সাহিত্য-সংস্কৃতির আত্মগত প্রাণ। পূর্ব বাংলার রাষ্ট্রভাষা-আন্দোলন নিয়ে শেকড়সন্ধানী গবেষণায় তন্নিষ্ঠ। ইতােমধ্যে ভাষাসৈনিকদের জীবনী ও ভাষা-আন্দোলনের ইতিহাস বিষয়ক ১৬ টি গবেষণাধর্মী গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে তার। একই বিষয় নিয়ে প্রকাশাপেক্ষায় আছে আরও বেশ কিছু গ্রন্থ। গ্রন্থসমুদয় ভাষা-আন্দোলনের নানা অজানা তথ্য মেলে ধরেছে: ফুটে উঠেছে অনেক অশ্রুত দিক || ভাষা-আন্দোলন নিয়ে বৃহৎ ক্যানভাসে রচিত গ্রন্থে অসম্পর্শিত কথা তিনি সংগ্রহ করেছেন এবং করছেন অনুসন্ধিৎসু মন নিয়ে সংগ্রহ করেছেন ভাষা আন্দোলনের অনেক দুর্লভ দলিল, অপ্রকাশিত ছবি ও স্মৃতি স্মারক উদ্ধার করেছেন শত ভাষাসংগ্রামীদের গৌরবদীপ্ত অবদানের স্মৃতিকথা । ভাষা-আন্দোলন স্মৃতি সংরক্ষণ আন্দোলনেও তিনি একজন একনিষ্ঠ কর্মী। শুরুটা ১৯৮৭ সাল থেকে। সেই থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত দুই যুগ ধরে তিনি নিজেকে নিয়ােজিত রেখেছেন এই মহান কর্মযজ্ঞে। আজও পড়ছেন, লিখছেন, শিখছেন। এ কাজের স্বীকতিস্বরূপ ভূষিত হয়েছেন নানা পুরস্কার ও সম্মাননায় । কর্মসূত্রে ভাষা আন্দোলন গবেষণা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক। বাংলা একাডেমীর সদস্য ছাড়াও বিভিন্ন সমাজকল্যাণ সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত।
তসলিমা কবির
Title :
শল্যচিকিৎসক ও ভাষাসৈনিক অধ্যাপক এম কবির উদ্দিন আহমদ