শকুন্তলা বোর্ডিং এর মালিক ছিল এক হিন্দু ব্যবসায়ী। তার মায়ের নামে এই বোর্ডিং । কিন্তু হঠাৎ করে এই পূর্ব বঙ্গ ছেড়ে তারা পাড়ি জমায় কলকাতায়। চলে যাওয়ার সময় আজমল তালুকদারের কাছে সে এই বোর্ডিং বিক্রি করে যাচ্ছিল তখন তার শুধু একটাই শর্ত ছিলো, বোর্ডিং এর নাম যেন পরিবর্তন করা না হয়। সেই থেকে আজমল সাহেব এই বোর্ডিং চালিয়ে যাচ্ছেন।
১৯৩৭ সালের শেষের দিকের সময় এখন। সবে ভোরের দিকে শীত অনুভব শুরু হয়েছে। এই সময়টায় জমিদারির কাজ একটু ঝিমিয়ে আসে। সেই সুযোগে তাপস কলকাতায় তার অধীনস্থদের সব কিছু দেখতে বলে এই বোর্ডিং এর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এই বোর্ডিং এর কেউই জানে না তাপস একজন জমিদার।
নিজের পরিচয় লুকিয়েই সে এই বোর্ডিং এ আসা যাওয়া করছে প্রায় দুই বছর ধরে।
তাসনীম সাদিয়া সুহানা
নিজেকে গল্প বলার মানুষ হিসেবে পরিচয় দিতে বেশি ভালবাসি। গল্প বলার জন্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছি ছোট গল্প, কবিতা আর উপন্যাস। মানুষের জীবনে প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া গল্প গুলোকে তুলে ধরার চেষ্টা করি অনবরত। নতুন কিছু সৃষ্টির প্রচেষ্টায় বাঙালি পরিবারের সম্পর্কের বিভিন্ন দিক গুলো নিয়ে বৃহৎ আকারে ২০১৯ সালে রচনা করি প্রথম উপন্যাস “বিনি সুতার টানে”। যা ২০২০ সালের একুশে বই মেলাই অনন্যা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়। ‘খাঁচা’ আমার দ্বিতীয় উপন্যাস। জন্ম থেকে বেড়ে উঠা চট্টগ্রাম শহরে। ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে জড়িয়ে পরি লেখা লেখির এই জগৎটাতে। গল্প সেতো গল্প নয় জীবনেরও কথা কয় এই নশ্বর জীবনে গল্পরাই কেবল হয়ে থাকে অবিনশ্বর।