সারসংক্ষেপ এই আধুনিক যুগে গ্রাম ও শহরের সকল সংবাদ, দেশ ও বিদেশের খবর, বিভিন্ন তথ্য ও মত, নানা চিন্তা-ভাবনা প্রতিদিনই আমাদের কাছে পৌঁছে যায় পত্রিকা, টেলিভিশন পর্দা বা বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে। যোগাযোগের এসব মাধ্যম এখন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে। ওই তথ্য ও সংবাদ ছাড়া আমাদের পক্ষে এখন দু’দণ্ড চলা মুশকিল। এই সম্প্রচারের ভাষাটা কি হওয়া উচিত, কেমন হওয়া উচিত- এ নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের সম্প্রচার বিশেষজ্ঞ, লেখক-বুদ্ধিজীবীরা লিখেছেন এ বইয়ে। বইটির মূল প্রকাশক কলকাতার(ভারত) গাঙচিল।সংবাদপত্র সহ বিভিন্ন মিডিয়া কর্মী, মিডিয়া ও ভাষা-সাহিত্যের শিক্ষক-ছাত্রদের জন্য অত্যন্ত দরকারী ও গুরুত্বপূর্ণ এই গ্রন্থ ‘সম্প্রচারের ভাষা ও ভঙ্গি’। বইটি গাঙচিলের অনুমতিক্রমে চারদিক প্রকাশ করেছে।
ভবেশ রায়
যিনি নতুন প্রজন্মের জন্য সাহিত্য ও জ্ঞানের বৃহত্তর দুয়ার খুলে দেওয়ার প্রয়াস পেয়েছিলেন, তিনি এক নিঃসঙ্গ শব্দ-অভিযাত্রী। বিশ্বের বৃহত্তর জগৎ থেকে সংগৃহীত তথ্য নিয়ে তিনি সৃষ্টি করেছেন এক নতুনধারার সাহিত্য। ভবেশ রায়-এর জন্ম ১৯৪৭ সালের ৮ জুলাই। ঢাকা জেলার ধামরাই থানার বাইশাকান্দা গ্রামে। শিক্ষাজীবন শুরু গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, তারপর কুসুরা আব্বাস আলি হাইস্কুলে। উচ্চ মাধ্যমিক করটিয়া সা’দত কলেজে। স্নাতক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্নাতকোত্তর (বাংলা সাহিত্য) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সাংবাদিকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু। অধুনালুপ্ত দৈনিক সমাজ পত্রিকার ফিচার এডিটর ছিলেন। তারপর সমবায় কর্মকর্তা (জনসংযােগ) হিসেবে ১৯৯৬ সালে চাকরি থেকে স্বেচ্ছা অবসর গ্রহণ। স্কুলজীবন থেকেই লেখালেখি শুরু। বর্তমানে সার্বক্ষণিক লেখালেখিতে নিয়ােজিত। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা একশ'র বেশি। কিশাের বিজ্ঞান, বিজ্ঞান প্রজেক্ট এবং জীবনী সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক। তাঁর এ নিজস্ব বলয়ের পরিধি যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে পাঠকপ্রিয়তাও। ২০০৪ সালে তিনি অর্জন করেছেন লেখক সম্মান পুরস্কার (কলকাতা)।