ইস্টিশন

বইয়ের নাম: ইস্টিশন লেখক: হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনী: অনন্যা প্রকাশনী পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৯২ বইবাজার মূল্য: ১২০ টাকা ইস্টিশন মাস্টার ও তার পরিবার ইস্টিশনের কোয়ার্টারেই থাকেন। পরিবারের সব চেয়ে ছোটো সদস্য টগর ক্লাস সিক্সে পড়ে। তার বর্ণনার দৃশ্যকল্পেই উপন্যাসটি বর্ণিত। টগরের বড়ভাই রঞ্জু সব দিকে মেধাবী হলেও এবছর দ্বিতীয় বারের মত স্কুল ফাইনাল পরীক্ষায় ফেল করেছে এবং তৃতীয় বারের মত পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। টগরের ফুপু আর ফুপাতো বোন কুসুম ও তাদের সাথেই থাকে। কুসুম এবার এসএসসি পরিক্ষা দিবে, তার চরিত্র বেশ রহস্যজনক, তার দাবি তার শরীরে এমন এক বিশেষ চিহ্ন রয়েছে যার কারনে কোন পুরুষ তার কথার বিপরীতে যেতে পারে না। টগরের মায়ের কি একটা আধকপালি মাথা ব্যাথার অসুখ আছে তাই সে সারাদিন ঘরের দোর দিয়ে অন্ধকার ঘরে বসে থাকে। মাঝে মাঝে সে কাউকে চিনতে পারেনা। আর এই মাথাব্যাথার কারণ হলো রাহেলা ফুপু। তবে বাড়ির সব কাজ রাহেলা ফুপু করলেও তাকে কখনো কাজ করতে দেখা যায় না। ইস্টিশনের পাশেই মগরা রেল ব্রিজ, অনেকে নাকি মাঝ রাতে ব্রিজের উপর রেললাইনে বসে কোন একটি বাচ্চা ছেলেকে খেলা করতে দেখে।এদিকে রঞ্জু এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন বাড়ি ছেড়ে চলে গেলো অজানার উদ্দেশ্যে! একদিন কতৃপক্ষের নজরে এলো মগরা ব্রীজ দুর্বল হয়ে পড়েছে, সেই ব্রিজ মেরামত করার জন্য দলবল নিয়ে একদিন উপস্থিত হলেন ইঞ্জিনিয়ার কামরুল ইসলাম। তার জাপান থেকে আনা টুপি মগরা ব্রিজ থেকে পড়ে যাওয়ায় টগর তার নাম দিলো 'জাপানি ইঞ্জিনিয়ার'। টগরদের বাড়ীতে দাওয়াত খেতে এসে কুসুমকে ভালো লেগে গেলো ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের। এদিকে রঞ্জু ও ফিরে এলো নতুন রুপে আর কুসুমের প্রতি অদম্য আকর্ষন নিয়ে! ব্রিজের কাজে কী এক গন্ডগোলের জন্য চীনের এক লোক এসেছে। ব্রিজটা চীনের সহযোগীতায় ঠিক করা হচ্ছে বলে তাকে আনা হয়েছে। একরাতে চীনা লোকটা ব্রিজের উপরে ছিলো তখন একটা ট্রেন তাকে চাপা দেয়। লোকটা চোদ্দটুকরা হয়ে গেল। এই নিয়ে অনেক লোক আসলো ঘটনাস্থলে। পুলিশ জাপানী ইঞ্জিনিয়ার কে ধরে নিয়ে গেল। যদিও সে বলছিলো আমি নির্দোষ। তাহলে কে দোষী ? রেটিং: ৮/১০ #বইবাজার_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_মার্চ_২০১৯