ফ্ল্যাপে লিখা কথা
ইস্টার্ন কমান্ডের লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ.এ.কে. নিয়াজি হলেন সেই ব্যক্তি যাকে এমন এক দুর্ভাগ্যজনক অপারেশনের নেতৃত্ব দিতে হয়েছিল যার ফলে পাকিস্তানের বিভক্তি ঘটেছে। পাকিস্তানের ইতিহাসে সেই অবিস্মরণীয় ইতিহাসে সেই অবিস্মরণীয় বছর ১৯৭১ সম্পর্কে অনেক বই লেখা হয়েছে। কিন্তু অবশেষে এই ঘটনার অন্য যে প্রধান নায়ক যুদ্ধে পরাজয়ের জন্য দায়ী ঘটনাবলী সম্পর্কে নিজের অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন।
এই বই ইতিহাসের অনেক শূন্যতা পূরণ করবে। লে. জেনারেল নিয়াজি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সবচেয়ে বেশি পদকপ্রাপ্ত সৈন্যপ্রাপ্ত একজন। তিনি ছিলেন কোয়েটায় স্কুল অভ ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিক্স এর কমান্ডার এবং কোয়েটায় কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজের ইনস্ট্রাকটর। সম্প্রতি তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সূচিপত্র
* প্রাথমিক জীবন
* ১৯৬৫ সালের যুদ্ধ
* বিচ্ছিন্নতার জন্য দায়ী ঘটনাবলী
* ইস্টার্ন কমান্ডোর কমান্ডার
* এলাকা বিন্যাস ও সৈন্য মোতায়েন
* মুক্তিবাহিনী ও আমাদের বেসামরিক সশস্ত্র বাহিনীv * যুদ্ধ পরিকল্পনা
* যুদ্ধের কালো মেঘ
* আগ্রাসন
* সেক্টরওয়ারি যুদ্ধ
* পাকিস্তানের ভাঙন
* ঢাকা বৃত্ত বা ত্রিভুজ সম্পর্কে ভুল ধারণা ও ভারতীয় পরিকল্পনা
* পরিকল্পিত বিপর্যয়
* আত্মসমর্পণ এবং ১শ’ নম্বর যুদ্ধবন্দী শিবির
* পাকিস্তান প্রত্যাবর্তন
* হামুদুর রহমান কমিশন
* বেসামরিক জীবন
* শেষ কথা
* বার্ষিক গোপনীয় রিপোর্ট
* জেনারেল আবদুল হামিদ খানের রিপোর্ট
* গোপনীয়
* গোপনীয় / ব্যক্তিগত
* একটি গোপনীয় দলিল প্রকাশ
* সরদার ফারুক আহমেদ খান লেঘারি
* যুদ্ধের ধারণা
* ডা. মালিকের চিঠি
* ভারতীয় আমেরিকান পত্রিকার সঙ্গে নিয়াজীর সাক্ষাৎকার
* ভারতীয় বিশেষজ্ঞ শর্মিলা বসুর দৃষ্টিতে নিয়াজী
* হামুদুর রহমান কমিশনের অংশিক রিপোর্ট
লে. জেনারেল এ. এ. কে. নিয়াজি
ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল
ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল জন্ম ১ জানুয়ারি, খুলনা । বাবা বিশিষ্ট মুক্তিযােদ্ধা অধ্যক্ষ মােস্তাফিজুর রহমান এবং মা রাহিলা খাতুন। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন, এমবিবিএস পাশ করেন ১৯৯৩ সালে । ছাত্রজীবনে সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সার্জারি বিভাগে কর্মরত রয়েছেন। তিনি থােরাসিক সার্জারিতে এমএস করছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি লেখালেখি করেন প্রচুর। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, পাক্ষিক ও মাসিকে নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন। যদিও লেখালেখির শুরুটা কবিতা দিয়েই, কিন্তু বর্তমানে বেশি ব্যস্ত স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখালেখিতে । সায়েন্সফিকশন এবং ভৌতিকগল্পও লিখছেন প্রচুর । অনুবাদেও সমান দক্ষ। ইতােমধ্যে তার বেশ কিছু অনুবাদের বই বেরিয়েছে। প্রথম কবিতার বই একজন স্বপ্ন পুরুষের কাছে মৃত্যুর অনুবাদ প্রকাশিত হয় ১৯৮৯ সালে। বাংলায়। প্রথম দীর্ঘ সায়েন্সফিকশন কবিতা লেখেন তিনি, পৃথিবীর মৃত্যুতে কাঁদেনি কেউ শিরােনামের এই সায়েন্সফিকশন কবিতাটি প্রকাশিত হয় অন্যদিন পত্রিকায়। স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখালেখিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৯ সালে পেয়েছেন। আনােয়ারা-নূর পুরস্কার। তাঁর স্বাস্থ্য বিষয়ক বইগুলাে ব্যাপকভাবে পাঠক জনপ্রিয় হয়েছে। রহস্য পত্রিকায় তিনি পাঠকদের স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশ্নের উত্তর দেন। উন্মাদ পত্রিকায় তিনি পরিকল্পনা বিভাগে রয়েছেন। তিনি একটি জাতীয় দৈনিকের সাব এডিটর।