দৈবে পাওয়া এক বিশেষ দৃষ্টিশক্তির বলে অনেক বছর আগে মারা যাওয়া মানুষদের অশরীরী আত্মা দেখতে পায় কায়রা। সেইসব অতৃপ্ত আত্মাদের মুক্তিদানের দায়িত্ব তুলে নেয় কাঁধে। আর সেই কাজ করতে গিয়ে বহু বছর ধরে ঘুমিয়ে থাকা ভয়ংকর এক অশুভ পিশাচকে জাগিয়ে তোলে ভুলবশত:। বিপদ নেমে আসে কায়রা আর ওর বন্ধুদের উপরে। এ বিপদ শুধু ওদের নয়, হিংস্র এই পিশাচকে নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে বিপদ নেমে আসবে গোটা শহরের উপরে। মরীয়া হয়ে ওঠে কায়রা। দুঃসাহাসিক এক পদক্ষেপ নেয়। পাড়ি জমায় বøাইটি শহরের কণ্ঠলগ্ন দুর্গম জঙ্গলের গভীরে, যেখানে রয়েছে এক সিরিয়াল কিলারের গোপন কেবিন, গুমঘর। আর এখানেই রয়েছে পিশাচটাকে নিয়ন্ত্রণের উপায়রহস্য। কায়রা আর ওর দুই বন্ধু মেসন আর জো এর এক সম্মিলিত লোমহর্ষক অভিযান। ডার্সি কোটসের ভৌতিক সিরিজ “গ্রেইভকিপার” এর দ্বিতীয় খÐ, হাড় কাঁপানো ভৌতিক উপন্যাস দ্য র্যাভেনাস ডেড।
ডার্সি কোটস
জন্ম অস্ট্রেলিয়াতে। ২০১৪ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় তাঁর লেখা ভৌতিক উপন্যাস ‘ঘোস্ট ক্যামেরা’। তুমুল জনপ্রিয়তা পায় তাঁর প্রথম লেখা। এরপর একের পর এক তিনি উপহার দিয়ে চলেন সার্থক সব ভৌতিক ও রহস্যোপন্যাস। দ্যা হান্টিং অব ব্ল্যাকউড হাউজ (২০১৫), দ্যা হান্টিং অব গিলেসপী হাউজ (২০১৫), ডেড লেক (২০১৫), প্যারাসাইট (২০১৬), দ্যা হাউজ নেক্সট ডোর (২০১৭), ক্রাভেন ম্যানর (২০১৭), দ্যা ক্যারো হান্ট (২০১৮) এরকম বিশটিরও অধিক জনপ্রিয় উপন্যাস লিখেছেন তিনি যার অধিকাংশই ইউএসএ টুডে বেস্ট সেলার বুক। এ্যামাজন বেস্ট সেলিং লেখকদের তালিকায়ও নাম রয়েছে তাঁর। অস্ট্রেলিয়াতে সেন্ট্রাল কোস্টে বাবা-মায়ের সাথে বসবাস করেন অবিবাহিত ডার্সি। বনজঙ্গলে ঘোরা, বই পড়া আর বিড়াল পোষা তাঁর শখ। তাঁর লেখা ভৌতিক উপন্যাসগুলো শহুরে ভৌতিক কাহিনী বলে মনে করা হয়।