“এই লোকটি যা-ই করুন না কেন, চমৎকারভাবে করেন,” আইজাক আসিমভের দ্য রোমান রিপাবলিকের পাঠ প্রতিক্রিয়ায় এভাবেই পাঠকের অনুভূতি প্রকাশ করা হয়েছিল কোলাম্বাস ডেসপাচ পত্রিকায়। “তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন লেখক সাহিত্যের যে কোনো অংশে বিচরণ করতে পারেন এবং সেখানেই তার রচনাকে আকর্ষণীয় করে তোলার ক্ষমতা রাখেন । এই গ্রন্থটিতে তিনি রোম এবং রোমান সাম্রাজ্যের মানুষদের যেন পুনরায় জীবন দান করেছেন।” রোমান সাম্রাজ্যের সময়টি পৃথিবীর ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। আর আসিমভের স্বকীয়তায় যুগটি যেন নতুনরূপে মনোমুগ্ধকর হয়ে দেখা দিয়েছে।
পাঁচশ বছরের ঐতিহ্যবাহী ইতিহাসের দিকে তাকালে আমাদের পরিচয় ঘটে কিছু অসাধারণ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন শাসকের সাথে, বিশেষ করে অগাস্টাস এবং তার বংশধরের মধ্যে ট্র্যাজান, মার্কাস অরেলিয়াস, ডিওক্লেশিয়ান, কনস্টানটাইন এবং থিওডোরিক । এই শাসকদের চরিত্র এবং যে ঘটনার মধ্য দিয়ে তারা বেড়ে উঠেছেন, সেসব এই বইয়ে এত স্বচ্ছভাবে বর্ণিত হয়েছে যেন সব মিলে সেই যুগটি আমাদের চোখের সামনে প্রতীয়মান।
এই বইয়ে রোমের দুই প্রধান ঐতিহ্য নির্মাণের চিত্র দেখতে পাওয়া যায়—একটি হলো আইনের শাসন যা কিনা আজও আমাদের জীবনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে যাচ্ছে আর আরেকটি হলো পূর্বদিকের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে সাম্রাজ্যের বিশেষ অবদান।
আইজাক আসিমভ
কিংবদন্তির সায়েন্স-ফিকশন লেখক আইজ্যাক আসিমভ এর জন্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। পেশাগত জীবনে তিনি বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিষ্টের প্রফেসর ছিলেন। সায়েন্স-ফিকশন দুনিয়ার রবার্ট ই. হিনলিন, আর্থাও সি. ক্লার্ক তাকে বিগ থ্রি বলে অভিহিত করে থাকে।
প্রায় ৪০০ বইয়েওে স্রষ্টা তিনি। তার প্রবন্ধ সংগ্রহ, রহস্যগল্প এবং সায়েন্স-ফিকশন খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ কওে তার ফাউন্ডেশন সিরিজ’ তাকে খ্যাতির শীর্ষে স্থান দিয়েছে। তার গল্প নিয়ে হলিউডে নির্মিত হয়েছে অসংখ্য চলচ্চিত্র। এখনও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে, বিভিন্ন ভাষায় তার লেখা অনুদিত হয়ে আসছে, নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্র।
সারার পৃথিবীর বিজ্ঞান-কল্পকাহিনীর লেখকদেও আদর্শ তিনি।