ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ ছোটদের মনে একটা মহাবিশ্ব থাকে। স্বপ্নকলার রঙে আর রসে তা টসটস করে। চিরচেনা চারপাশের জটিলতা থেকে ওরা মুক্ত হতে চায় বলেই ওদের সৃষ্টিশীলতা এমন তুমুল হয়ে ওঠে। কিন্তু বাস্তবকে এড়ানো কেতা সম্ভব নয়। তাই ওদের স্বপ্ন-কল্পনায় চারপাশের মিহি ধুলোকণা জড়িয়ে যায়। এই মিহি ধুলো-জড়ানো বাস্তব আর স্ব্প্নকল্পনার জগতটিকে নিপুন ভাবে তুলে ধরতে পারেন কথাসাহিত্যিক আনিস রহমান। বড়দের জন্যে তো দীর্ঘদিন অনেক গল্প লিখেছেন, কিন্তু অন্তরের টানে ছোটদের জন্যেও লিখেছেন বেশকিছুর গল্প, যা আনন্দের এক পশরা নিয়ে হাজির হয় পাঠকরে কাছে। এ গল্পের লক্ষ ছোটরাই, মূলত কিশোর পাঠক বা পাঠিকা, কিন্তু বড়রাও যে পড়ে বেশ মজা পাবেন , তা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
আনিস রহমান
আনিস রহমান-এর জন্ম ২০ জানুয়ারি ১৯৬৪ ঢাকায়। গ্রাম গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ। তিনি গল্প লিখছেন মধ্য-আশি থেকে। যাপিত জীবনের ব্যক্তিক ও সামাজিক অভিজ্ঞতার সংবেদনশীল রূপায়নের জন্যে তিনি প্রথম থেকেই চিহ্নিত হয়েছেন ব্যতিক্রমী একজন গল্প লেখক হিসেবে। নদীর রূপপালী ধারা, বাঁক ফেরা তাকে মগ্ন করে, মুগ্ধ করে গভীর চেতনায় । তাই ফিরে ফিরে নদীর কাছে যাওয়া তার অনন্য এক শখ। দীর্ঘ প্রায় এক দশক যুক্ত ছিলেন সাংবাদিকতায়। সে সুবাদে জীবনের নানা অবয়ব কখনও তাকে করেছে আশাহত কখনও আর্দ্র। কখনও আবার স্বপ্ন দেখিয়েছে নতুন আগামীর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগােলে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর । পিএইচ.ডি করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বর্তমানে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত। সংসারবন্ধু আশরাফ জঁহা এলি। শিক্ষকতা করেন একটি কলেজে। মেয়ে নিসর্গ মেঘেলা। ছেলে দিঘল অরণ্য কাব্য। প্রকাশিত গ্রন্থ : ছােটগল্প। ছেড়া পাঁজরের চিরকুট, ছায়া জুড়ে বিষন্নতা, বাজে না মন্দিরা, ঈশ্বরের চিত্রনাট্য, মণ্ডপটিলার পার্শ্বচিত্র, তুলির ডগায় রঙ, আকাশ কাকুর চিঠি, হৃদয়পুর, গ্রেট দিপকদা, আঁকাজোকা মুখ, ভূত-অদ্ভুত। প্রবন্ধ : বাংলাদেশের উপন্যাসে ভূগােল-চেতনা (১৯৪৭-১৯৯০), কাল-সমকাল ।