কাহিনীই হচ্ছে উপন্যাসের সেই মৌলিক বিষয় যা না থাকলে এর অস্তিত্বই থাকত না। সব উপন্যাসে যেসব বিষয় থাকে তার মধ্যে কাহিনীর অবস্থান সবার আগে এরকম না হলেই ভালো হতো - আমার মনে হয়। তাহলে উপন্যাস হতো ভিন্ন একটা কিছু-মধুর কোনো সঙ্গিত অথবা সত্যের অবয়ব।
১৯২৭ সালের বসন্তকালে কেমব্রিজ - এর ট্রিনিটি কলেজে প্রদত্ত বক্তৃতাই Aspects of The Novel নামে গ্রন্তাকারে প্রকাশিত হয় সে বছরই। আর বিগত ৭৫ বছর ধরে এডওয়ার্ড মরগান ফরস্টারের এ বইটি উপন্যাসতত্ত্ব বিষয়ে ঈর্শিতব্য অনন্য স্থান দখল করে আছে। আরোও বহুকাল থাকবে। উপন্যাসের বিষয়-আশয় সে বইটিরই বাংলা রুপান্তর - কথাশিল্পী সুব্রত বড়ুয়ার অনবদ্য অনুবাদ।
সুব্রত বড়ুয়া
সুব্রত বড়ুয়ার জন্ম বিগত শতকের চল্লিশের দশকের মাঝামাঝি সময়ে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার অন্তর্গত ছিলােনীয়া গ্রামে এক মধ্যবিত্ত বৌদ্ধ পরিবারে। তার পিতার নাম অন্নদাচরণ বড়ুয়া ও মায়ের নাম সরােজিনী বড়ুয়া। নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার শিক্ষাজীবনের সূচনা; পরে চট্টগ্রাম শহরে এসে মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুল থেকে ১৯৬১ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন। উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ে পড়াশুনা করেন চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে। ১৯৬৬ সালে পদার্থবিজ্ঞানে অনার্সসহ বিএসসি এবং ১৯৬৭ সালে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। চট্টগ্রাম কলেজে পড়ার সময়ই সাহিত্যের প্রতি তাঁর বিশেষ আগ্রহ জন্মে। সে সময় দেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তাঁর কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। কর্মজীবন শুরু করেন চট্টগ্রাম শহরস্থ সেন্ট প্লাসিডস হাই স্কুলে বিজ্ঞান ও গণিতের শিক্ষক হিসেবে ১৯৬৯ সালে। সে বছরই ডিসেম্বর মাসে যােগ দেন রাঙ্গুনিয়া ডিগ্রি কলেজে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে। এক বছর পর ১৯৭০ সালের ডিসেম্বর মাসে যােগ দেন ঢাকাস্থ বাংলা একাডেমিতে। দীর্ঘ ৩২ বছর বাংলা একাডেমিতে চাকরি করার পর ২০০২ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি একাডেমির পরিচালক পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।