পাতলাদা আসলে পাতলা বা চিকন নয়, বরং ইয়া মোটা, বখতিয়ার খিলজির মতো লম্বা দুটি হাত, বসে ডান হাতল ভাঙা বিখ্যাত ময়ূর সিংহাসনের চেয়ারে। পান চিবায় অনবরত। থাকে পুরান ঢাকার এঁদো গলির জুরাইনে, জন্মসূত্রে। পাতলাদার শাগরেদ ভোম্বল, সাগর, জগলুল, টিয়া, আবুল, ইগল আর ব্যাকুল। এদের সঙ্গে নিয়ে অদ্ভুত ও অবিশ্বাস্য কাণ্ড করে বেড়ায় পাতলাদা। জুরাইনে পাতলাদার ভূগর্ভস্থ কারখানায় সোনার ঘোড়া তৈরি হয়। গোপনে সেই খবর পৌঁছে যায় শত্রুরাষ্ট্র ফাকিস্তানে। ফাকিস্তানের জেনারেলরা পাতলাদার সোনার ঘোড়া চুরি করার জন্য চৌকশ সৈন্যদের একটা দল পাঠায়। ডুবোজাহাজে করে বুড়িগঙ্গায় সেই জাহাজ ভেসে ওঠে এবং কালো পোশাকে রাতের অন্ধকারে পাতলাদার সোনার ঘোড়া চুরি করতে যাত্রা করে। এদিকে পাতলাদার সোনার ঘোড়া চুরি হওয়ার খবর থানায় জানালে পুলিশের পেটমোটা দারোগা সর্বনাশ মিয়া তা বিশ্বাস করছে না। রাগে-দুঃখে পাতলাদা ও তার শাগরেদদের চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করছে তার। অন্যদিকে ঢাকার আকাশে কালোজালে আটকা পড়েছে ফাকিস্তানের চোরের দল। তাহলে সোনার ঘোড়া কোথায়? আকাশে উড়ল কীভাবে? পানির রাজ্যে পথ কেটে কেটে কারা হাঁটছে অতলে?