ফ্ল্যাপে লিখা কথা দুনিয়া জুড়েই মিডিয়ার নকশা বদলে যাচ্ছে। নকশা বদলের দোষ-গুণ সব কিছুর জন্যই প্রযুক্তি দায়ি। মিডিয়ার মেরুদন্ড এখন প্রযুক্তি। প্রযু্ক্তির স্বক্ষমতা ও টেকসইয়ের স্থায়ীত্বের উপর মিডিয়া দাঁড়িয়ে আছে। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বা টেলিভিশনের বেলাতে পনের আনাই কারিগরি বা প্রযুক্তির উপর ভরসা করে আছে। প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকবে যে, সেই বেশি দর্শককে তার পর্দায় আটকাতে পারবে। কারণ প্রযুক্তি ছাড়া সংবাদ সংগ্রহ ও পরিবেশনে এখন হাল নাগাদ থাকা যাচ্ছে না। আর প্রতিযোগিতা যখন প্রযুক্তির, তখন এই মিডিয়াতে যারা কাজ করেন তাদের স্বনির্ভর হওয়াটা প্রথম শর্ত হয়ে উঠেছে। যিনি ক্যামেরা সম্পর্কে কোন ক, খ, গ জ্ঞান থাকবে না তা নয়। প্রতিযোগিতার দৌড়ে, প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় দলবদ্ধ ভাবে খবর সংগ্রহের দিন ফুরিয়ে আসছে। ক্যামেরাম্যান ও রিপোর্টার যৌথভাবে এসাইনমেন্ট কভার করবেন, নাকি একা এসাইনমেন্ট এ যাবেন এমন আনুপাতিক হিসাবের ভারসাম্যটা একলা চলো-র দিকেই দ্রুত হেলে পড়ছে। উনিশ শতকের ষাটের দশকে যে সাংবাদিকতা শুরু হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে, সেই ‘ভিডিও জার্নালিজম’ এখন বাংলাদেশের টেলিভিশন সাংবাদিকতার অনিবার্যতা।
তুষার আবদুল্লাহ্
স্কুল পেরিয়েই সাংবাদিকতায় কাজ করতে আসা। তারপর কেটে গেল পঁচিশ বছর। কলেজ না ডিঙোতেই প্রথম বই। শিশুদের জন্য তোমাদের প্রিয়জন। তারপর বাংলাদেশের পথে পথে, চল যাই নদীর দেশে, গাছ বন্ধু, ফুল বন্ধু, চল বড় হই। টেলিভিশন সাংবাদিকতারও যুগ একযুগ পেরিয়েছে। শুরু থেকে টেলিভিশনকে শিশুদের প্রতি সংবেদনশীল রাখার লড়াইয়ে। শিশুদের জন্য পত্রিকা ইচ্ছে প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে। নিয়মিত সঞ্চালনা করা হয় সময় সংলাপ। সেখানেও এ প্রজন্মের শৈশব-কৈশোর উদযাপন প্রতিপাদ্য হয়ে আসে।