আমিও কিছু না বলে একরাশ হতাশা নিয়ে খাবার ঘরের দিকে পা বাড়াতেই ভাইয়ার রুম থেকে চিৎকার। কোমল সুরে, আবেগে কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে নারীতিমতাে হুংকার ছেড়ে ভাইয়া বলল, ‘বাড়ি থেকে যেথায় যাবি যা, তাই বলে আমার টাকা নিয়ে গেলি কোন সাহসে? আমি কি টাকা জমাই আপনার পলায়নের জন্য? ভাইয়ার এমন কর্কশ ও রূঢ় ব্যবহারের সঙ্গে আমি মােটামুটি পরিচিত। কোমল ভাষাটা মূলত তার আসে না। আমার বিশ্বাস, গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গেও সে এমন কর্কশ ভাষায় কথা বলে। গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে যেভাবে কথা বলার বলুক। আমার কথা হলাে, আমার প্রত্যাবর্তনের আনন্দে তার তাে কথা বলারই কথা ছিল না। বাকরুদ্ধ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে সে কথা তাে বললই, বরং স্বভাবসুলভ রূঢ় ভাষাতেই বলল। তাও কী নিয়ে বলল? মাত্র দুই হাজার টাকা নিয়েছি বলে বাড়িতে ঢুকতে না ঢুকতেই খোটা দিয়ে বসল। এ অপমান গায়ে মাখার মতাে না। তবু গায়ে মেখে রান্নাঘরের দিকে পা বাড়ালাম।