ছোটমামার সাথে পাহাড় দেখতে এসেছে চয়ন। কিন্তু নিবিড় সবুজে ঢাকা পাহাড়চূড়ার বদলে সে দেখলো ভয়ঙ্কর পাশুটে এক মুখচ্ছবি। ঠিক যেন ঘাড় মটকে রাখা মড়ার শরীর। নিস্তব্ধ চারদিক, গাঢ় অন্ধকার! আর সেই অশরীরী নর্তকীর নূপুরের ঝংকার! আতঙ্কে মৃগী রোগীর মতো থর থর করে কাঁপছে চয়ন। আঃ ধপাস! সেও শুনেছে সেই হাড় কাঁপানো অদ্ভুতুড়ে কন্ঠ। বড্ড শীতল আর সম্মোহক প্রেতাত্মার কণ্ঠস্বর। রানীমার অতৃপ্ত আত্মা মধ্যরাতে আসমান থেকে নেমে এসেছে নীলমণির খোঁজে। বীভৎস সেই দৃশ্য দেখে তাড়া খাওয়া মোষের মতো হাঁপাচ্ছে আবির। প্রেতাত্মা মিলিয়ে যাবার পরপরই নাকে এল বিটকেল ঝাঁঝালো গন্ধ। যেন জ্যান্ত মানুষ পুড়ছে কোথাও!