ভূমিকা সবারই কিছু ব্যক্তিগত গল্প থাকে, আমারও আছে।একান্তই নিজের গল্প। হাঠাৎ হঠাৎ গল্পগুলি অন্যকে শোনাতে ইচ্ছা করে, কিন্তু বেশির ভাগ সময় করে না। মনে হয়- আমার আপন আঁধার অন্যকে জানিয়ে কি হবে? থাকুক না সেগুলি পুরানো ডাইরীতে। তাই হয়ত খাকতো। এক সন্ধ্যায় গুলতেকিন বলল, তুমি যে একবার জ্বীন দেখেছিলে সেই গল্পটা লিখে ফেল না কেন ? দারুণ ব্যাপার। ব্যাপার মোটেই দারুণ নয়। ১৯৭১ সনে যখন আমরা বরিশালের গোয়ারেখা নামের এক গ্রামে পালিয়ে ছিলাম তখন এক জ্বীন (?) আমাদের চোখের সামনে লাফালাফি করতে লাগল। দৃষ্টি বিভ্রম নয়, আমরা সব ভাইবোন দৃশ্যটি দেখে আতংকে জমে গিয়েছিলাম। সেই জ্বীন দেখার গল্পটি লিখতে গিয়ে আমার আপন আঁধার লেখা হল। তবে জ্বীন দেখার গল্পটি বাদ পড়ল। এই গল্প বলার সময় এখনো আসেনি। হুমায়ূন আহমেদ ১/২/৯৩ নিউ এলিফেন্ট রোড ঢাকা সূচীপত্র সমুদ্র দর্শন কবি সাহেব লেখালেখি খেরা শ্বেতপদ্ম শিল্পী সুলতান লাউ মন্ত্র মাসাউকি খাঁতাওরা ইংলিশম্যান হিজ মাস্টারস্ ভয়েস্ নুহাশ এবং সে বটবৃক্ষ ভাইভা হোটেল আহমেদিয়া
হুমায়ূন আহমেদ
কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে ‘নন্দিত নরকের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ। এই উপন্যাসে নিম্নমধ্যবিত্ত এক পরিবারের যাপিত জীবনের আনন্দ-বেদনা, স্বপ্ন, মর্মান্তিক ট্রাজেডি মূর্ত হয়ে উঠেছে। নগরজীবনের পটভূমিতেই তাঁর অধিকাংশ উপন্যাস রচিত। তবে গ্রামীণ জীবনের চিত্রও গভীর মমতায় তুলে ধরেছেন এই কথাশিল্পী। এর উজ্জ্বল উদাহরণ অচিনপুর ফেরা মধ্যাহ্ন মুক্তিযুদ্ধ বারবার তাঁর লেখায় ফুঠে উঠেছে। এই কথার উজ্জ্বল স্বাক্ষর জোছনা ও জননীর গল্প ১৯৭১ আগুনের পরশমণি শ্যামল ছায়া নির্বাসন প্রভৃতি। উপন্যাস গৌরীপুর জংশন যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ চাঁদের আলােয় কয়েকজন যুবক'-এ জীবন ও চারপাশকে দেখার ভিন্ন দৃষ্টিকোণ মূর্ত হয়ে উঠেছে ‘বাদশা নামদার’ ও ‘মাতাল হাওয়ায় । অতীত ও নিকট-অতীতের রাজরাজড়া ও সাধারণ মানুষের গল্প ইতিহাস থেকে উঠে এসেছে। গল্পকার হিসেবেও হুমায়ূন আহমেদ ভিন্ন দ্যুতিতে উদ্ভাসিত। ভ্রমণকাহিনি, রূপকথা, শিশুতােষ, কল্পবিজ্ঞান, আত্মজৈবনিক, কলামসহ সাহিত্যের বহু শাখায় তাঁর বিচরণ ও সিদ্ধি।
হুমায়ুন আহমেদের জন্ম ১৩ নভেম্বর ১৯৪৮ এবং মৃত্যু ১৯ জুলাই ২০১২।