আমারও একটা প্রেমকাহিনি আছে। আমিও ভালোবেসেছিলাম একজনকে। একজনকে নাকি দুজনকে! একটা হৃদয় এক জীবনে কয়জনকে ঠাঁই দিতে পারে? আমিও তো চেয়েছিলাম আমার ভালোবাসার মানুষের হৃদয়ের সব কটা চাবিই থাকুক আমার কাছে! তা কি আমি পেয়েছিলাম? একটুখানি ভালোবাসার জন্য তাহলে আমাকে কেন মাধুকরি করতে হলো হৃদয়ান্তরে। আমার ভালোবাসার মানুষটিকে কি আমি পাব না? নাকি পাওয়া বলে কিছু নেই! ভালোবাসার গল্পই এটি। কিন্তু সরলরৈখিক গল্প নয়। গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের উক্তি, আমার হৃদয়ে যতগুলো কুঠুরি আছে, একটা গণিকালয়েও ততগুলো ঘর নেই। আনিসুল হক তাঁর সংবেদী কলমে লিখলেন আধুনিক কালের প্রেমকাহিনি—যে কাহিনি প্রাপ্তমনস্কের।
আনিসুল হক
আনিসুল হক ৪ মার্চ ১৯৬৫ সালে রংপুরের নীলফামারীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রংপুর পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়, রংপুর জিলা স্কুল, রংপুর কারমাইকেল কলেজ এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। ছাত্রাবস্থা থেকেই সাহিত্য ও সাংবাদিকতার প্রতি তাঁর আগ্রহ ছিল, এবং তিনি বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে প্রকৌশলী হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দিলেও ১৫ দিনের মধ্যে সাংবাদিকতায় ফিরে আসেন। বর্তমানে তিনি একটি প্রথম শ্রেণির জাতীয় দৈনিকে সহযোগী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত। সাহিত্যে তাঁর অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, সিটি আনন্দ-আলো পুরস্কার, খালেকদাদ চৌধুরী পদক, সুকান্ত পদক, এবং ইউরো সাহিত্য পুরস্কারসহ বিভিন্ন সম্মাননা লাভ করেছেন।