খুব অস্বস্তি নিয়ে এই ফাজিল মেয়ে কবিতা আপুর পাশে বসলো। লজ্জাবতী এখন মাথা নিচু করে হাসছে। ওর চেহারাই বলে দিচ্ছে যে-পারলে ছেলের ঘাড়ে এখনি লাফ দিয়ে উঠে। ওমা, ফাজিল মেয়ে শীতের মধ্যেও ঘামছে কেন? আমার মনে খুবই কুৎসিৎ সব চিন্তা আসছে। দূর করতে পারছি না ।
কবিতা আপুর মুখে সেই লেভেলের তৃপ্তির হাসি। উনি জিজ্ঞেস করলেন,
ইশ! কত রং, এখনি ‘উনি’ বলে ডাকা শুরু করেছে! কবিতা আপু হাসি বিস্তৃত করে বললেন,
এমনই। ঘরের মধ্যে কখনো সিগারেট খায় না।
খা তুই সিগারট খা। ঘরের মধ্যে সিগারেট না খাওয়ার মত বড় পূণ্য পৃথিবীতে আর কী হতে পারে! অসহ্য। আমি মাথা ব্যাথার অজুহাত দিয়ে বের হয়ে পরলাম। প্রিয়ম নামের চিড়িয়াকে সেদিনও দেখা হলো না।