ভূমিকা আমার সায়েন্স ফিকশানগুলি আসলেই সায়েন্স ফিকশান হয় কি না এ বিষয়ে অন্য অনেকের মত আমারো সন্দেহ আছে। আমি এই ধারার গল্পে বিজ্ঞানের সূত্র অবশ্যই ব্যবহার করি কিন্তু বিজ্ঞানের বাইরের ব্যাপারগুলিই শেষ পর্যন্ত প্রাধান্য পায়। সায়েন্স ফিকশান না বলে অন্য কোন নাম দিতে পারলে আমার কাছে ভাল লাগত। উদ্ভট গল্প কি বলা যায়? না যায় না। উদ্ভট গল্পে লজিক তাও না। ফ্যান্টাসি সম্পূর্ণ অন্য ধারার বিষয়। তাহলে কি?
থাক নাম নিয়ে মাথা ঘামানোর কিছু নেই। ভিন্ন স্বাদের একগুচ্ছ গল্প পাওয়াটাওতো খারাপ না।
হুমায়ূন আহমেদ নুহাশ পল্লী, গাজীপুর
হুমায়ূন আহমেদ
কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে ‘নন্দিত নরকের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ। এই উপন্যাসে নিম্নমধ্যবিত্ত এক পরিবারের যাপিত জীবনের আনন্দ-বেদনা, স্বপ্ন, মর্মান্তিক ট্রাজেডি মূর্ত হয়ে উঠেছে। নগরজীবনের পটভূমিতেই তাঁর অধিকাংশ উপন্যাস রচিত। তবে গ্রামীণ জীবনের চিত্রও গভীর মমতায় তুলে ধরেছেন এই কথাশিল্পী। এর উজ্জ্বল উদাহরণ অচিনপুর ফেরা মধ্যাহ্ন মুক্তিযুদ্ধ বারবার তাঁর লেখায় ফুঠে উঠেছে। এই কথার উজ্জ্বল স্বাক্ষর জোছনা ও জননীর গল্প ১৯৭১ আগুনের পরশমণি শ্যামল ছায়া নির্বাসন প্রভৃতি। উপন্যাস গৌরীপুর জংশন যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ চাঁদের আলােয় কয়েকজন যুবক'-এ জীবন ও চারপাশকে দেখার ভিন্ন দৃষ্টিকোণ মূর্ত হয়ে উঠেছে ‘বাদশা নামদার’ ও ‘মাতাল হাওয়ায় । অতীত ও নিকট-অতীতের রাজরাজড়া ও সাধারণ মানুষের গল্প ইতিহাস থেকে উঠে এসেছে। গল্পকার হিসেবেও হুমায়ূন আহমেদ ভিন্ন দ্যুতিতে উদ্ভাসিত। ভ্রমণকাহিনি, রূপকথা, শিশুতােষ, কল্পবিজ্ঞান, আত্মজৈবনিক, কলামসহ সাহিত্যের বহু শাখায় তাঁর বিচরণ ও সিদ্ধি।
হুমায়ুন আহমেদের জন্ম ১৩ নভেম্বর ১৯৪৮ এবং মৃত্যু ১৯ জুলাই ২০১২।