নিহির কথা শুনে আমান শুধায়, “আকাশের চাঁদ মাটিতে যে তাই।”
“মানে?”
“মানে তুমি। প্রতিদিন দুটো চাঁদ থাকে। একটা আকাশে আরেকটা জমিনে। আকাশের চাঁদ তো চেনোই। আর জমিনের চাঁদ তুমি! আজকে আকাশের চাঁদ মেঘের আড়ালে লুকিয়ে আছে। আর জমিনের চাঁদ আমার সামনে।”
“আমি এতদিন ভাবতাম আপনি চাইলে গায়ক হতে পারতেন। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আপনি শুধু গায়কই নন; বরং একাধারে গায়ক, কবি, গল্পকার হতে পারবেন।”
“এতকিছু তো হওয়ার প্রয়োজন নেই আমার। আমি গান, কবিতা, গল্প যাই করি সবটা আমার নিহুর জন্য। মুগ্ধ হলে শুধু আমার নিহুপাখিই হোক৷ অন্য কাউকে আকর্ষিত বা মুগ্ধ করার ইচ্ছে আমার নেই।”
“আপনি আমায় এত ভালোবাসেন কেন? এত ভালোবাসবেন না! নজর পড়বে আমাদের ভালোবাসায়। আমি আপনাকে হারাতে চাই না।”
“আল্লাহ্ আছে তো, নিহু৷ তিনি সব নজর কাটিয়ে দেবেন। এটা আমার বিশ্বাস। আর আমি তোমায় হারাতে দেব না।”
মুন্নি আক্তার প্রিয়া
“মুন্নি আক্তার প্রিয়া” ছেলেবেলা থেকেই কল্পনা ও সাহিত্য বিলাসী। একটা সময় লেখা লেখিটা মূলত শখের বশে শুরু করলেও, পরবর্তীতে তা একসময় নেশায় পরিণত হয়। লেখালেখির পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান ও অনুপ্রেরণা পেয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও অগণিত ভক্তদের থেকে, যারা লেখিকার প্রতিটা লেখাতেই মুগ্ধতা ও ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছেন। সেই ভালোবাসা ও অনুপ্রেরণাই তাকে এই লেখালেখি তথা সাহিত্য জগতে টিকে থাকার ক্ষেত্রে অদম্য সাহস ও ইচ্ছে শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছে। এইভাবেই সাহিত্য জগতে তার প্রথম উপহার “সাঁঝের কন্যা” বইটি আর এ বইয়ের মাধ্যমেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বাইরে বই লেখার জগতে পদার্পন। তার লেখা প্রথম বইটি ব্যাপক সাড়া ও সফলতার ধারাবাহিকতায় তার দ্বিতীয় বইটি “চক্ষে আমার তৃষ্ণা” আসতে চলছে। সফলতার পথে অগ্রসর হওয়া এই লেখিকার জন্ম শরিয়তপুর জেলায়, কিন্তু বেড়ে ওঠা ও সপরিবারে বাস করেন গাজীপুর। লেখিকার চাওয়া ও মনেপ্রাণে বিশ্বাস, তিনি পাঠকের জন্য ভালো কিছু করবেন এবং অফুরন্ত ভালোবাসা অর্জন করবেন। আমরা লেখিকার সুস্বাস্থ্য ও সাফল্য কামনা করছি।