আয়নাঘর - হুমায়ূন আহমেদ | বইবাজার.কম

আয়নাঘর

    5 Ratings     1 Reviews

বইবাজার মূল্য : ৳ ১৫২ (২০% ছাড়ে)

মুদ্রিত মূল্য : ৳ ১৯০

প্রকাশনী : সময় প্রকাশন





WISHLIST


Related Bundles


Bundle Title Price
1
হুমায়ূন আহমেদ- এর সেরা ০৫ অতি প্রাকৃতিক বই

৳ ৬০০



Overall Ratings (1)

Md Aashiq
01/04/2019

লিলিয়ান ও তাহের দুইজন বিয়ে করেছে।তাহের বাংলাদেশি কিন্তু লিলিয়ান বিদেশি।তাদের পরিচয় পর্ব অনেক মজাদার।লিলিয়ান ঘুরতে এসে যা ভালো লাগতো তারই ছবি তুলে।কিন্তু সে আসলে ক্যামেরার মুখের ক্যাপ খুলতে ভুলে যায়।তাহের তা দেখে হাসে।পিরে লিলিয়ান যখন তাকে জিজ্ঞেস করে সে কেন হাসছে তার পর তাহের তাকে সে বলে সে কেন হাসছে।এ থেকেই তাদের মুলত পরিচয় শুরু।প্রথমে লিলিয়ান তাহেররের সাথে তেমন কথা বলতে চাইতো না।পরে বিভিন্ন কারনে তা পরিবর্তন হয়।লিলিয়ান খেয়াল করেছে তাহের সাথে দেখা হওয়ার পর থেকে সে একটা দুঃসপ্ন দেখা শুরু করেছে।কিছুদিন সপ্ন দেখার পর সে বুঝলো সে যে ছেলেটাকে সপ্নে দেখে সে তাহেরই।যদিও দুঃসপ্ন।এর কিছুদিন পর লিলিয়ান তাহেরের বাসায় যায়।সেখানে গিয়ে সে তাহেরকে জানায় যে সে তাহেরকে বিয়ে করতে চায় সে রাজি কিনা।লিলিয়ান কেন তাহেরকে বিয়ে কররে চায় তা সে নিজেই জানে না।তাহেরও লিলিয়ানকে অনেক পছন্দ করে ফেলে।ফলে সেও রাজি হয়ে যায়।ফলে তারা বিয়ে করে ফেলে।ভিন্ন ধর্মের এক ছেলেকে বিয়ে করার জন্য লিলিয়ানকে তার পরিবার গ্রহণ করতে অস্বীকার করে।তারা তাকে চিঠি দিয়ে এই বিষয় জানিয়ে দেয়।বিয়ের পর দুইজনই অনেক খুশিতে জীবন যাপন করতে থাকে।লিলিয়ান তাহেরকে বিয়ে করার পর সে দুঃসপ্ন আর দেখে না।তাহেরকে কাজের জন্য ভিয়েনায় যেতে হয়।তখন লিলিয়ানকে বাসায় একা থাকতে হয়।তখন সে দুঃসপ্নটা আবার দেখলো।ভিয়েনা থেকে তাহের হঠাৎ করে চলে আসে।এসে ঠিক করে বাংলাদেশে যাবে লিলিয়ানকে নিয়ে।বাংলাদেশে এসে সে নিশ্চিত হয় যে সে সপ্নে যে বাড়িটা দেখতে পেতো তা এই বাড়িটাই।বাড়ির অবস্থা তেমন ভালো না।তবুও লিলিয়ান অনেক আনন্দ পায় এখানে এসে।তাদের এই বাড়ির খেয়াল রাখে দূর সম্পর্কের চাচা ইস্কান্দার আলি।তাহেরের এই বাড়িতে একটি রুম রয়েছে যেটাকে তারা আয়না ঘর বলে।পুরো রুমে আয়না আর আয়না।এ বাড়ির বউরা এই রুমে সাজতো।লিলিয়ান এরুমের কথা জানতে পেরে তারও ইচ্ছা হলো সে ঘরে যাওয়ার।সে সেখানে গেলে তখন তার মনে হয় তাকে আয়না থেকে কে যেন দেখছে।তাহেরকে তাকে চাচা খবর পাঠায় যাওয়ার জন্য তাকে নাকি কি জরুরি কথা বলবে।তাহের রওনা হয়ে মনে হয় এখানে কিছু ভয়ংকর ঘটবে।এদিকে লিলিয়ান শোবার ঘরে থাকে।সেখানে হঠাৎ তিনজন ছেলে এসে দরজা ধাক্কায়।লিলিয়ান বুঝতে পারে সে ভয়ংকর বিপদে পরেছে।সে ভয়পেয়ে লুকানোর জন্য আয়নাঘরে ঢুকে পরে।সেখানে গিয়ে সে অনুভব করে যে সেখানে তার কাধে কেউ হাত রেখেছে পরম মমতায়।লিলিয়ান ভাবে এসবকি তার কোনো কল্পনা নাকি সবই সত্যি।গল্পটি পড়ে ভালোই লেগেছে।এর কারন হলো শেষের বেশিরভাগ কাহিনি খুবই অদ্ভুত ভাবে ঘটতে শুরু করেছিল।যাকে যুক্তি দিয়ে বিবেচনা করলে কোনো উত্তর পাওয়া যাবে না।যদিও রহস্যময় ব্যাপার সবসময় আশেপাশে ঘটে।তবে বইটি ভৌতিক হলেও তেমন ভয়ংকর না।সবাই পড়েই মজা পাবেন।সাধারণত ভৌতিক বই রোমান্টিক হয় না।এটিতে রোমান্টিকতাও আছে যার ফলে পড়তে আরো মজা লাগে।খুব সুন্দর করে লেখক পুরো গল্পটাকে আমাদের সামনে উপস্থাপন করতে পেরেছে।সবাই পড়ে দেখতে পারেন।সবারই ভালো লাগবে এই আমার বিশ্বাস। #বইবাজার_রিভিউ_প্রতিযোগীতা_মার্চ_২০১৯


PAYMENT OPTIONS

Copyrights © 2018-2024 BoiBazar.com