বাবা। দুই অক্ষরের এই একটি শব্দের সাথে জড়িয়ে আছে মহত্ত্ব, বড়ত্ব, সুবিশাল স্নেহের ছায়ার মধ্যে এক পরম নির্ভরতা। বাবা নামটি শুনলেই মনের মধ্যে আসে এক অন্যরকম প্রশান্তি ও ভালোবাসার শ্রদ্ধাবোধ। জগতের প্রতিটি মানুষই বাবা নামক এই সম্পর্কের সাথে গভীরভাবে জড়িত। কখনও বা সন্তান হয়ে, আবার কখনও নিজেই বাবা হয়ে বুকের গভীরে লালন করেন এক অনুপম স্নেহের ফল্গুধারা।
একজন বাবাকে ছোট থেকে বড় হতে গিয়ে পাড়ি দিতে হয় জীবনের দীর্ঘ পথ। সুদীর্ঘ এই যাত্রায় পদে পদে সংগ্রাম করতে হয় জীবনের প্রতিটি ধাপে। কখনও প্রতিষ্ঠিত হতে গিয়ে দুর্বার স্ট্র্যাগল, কখনও বউয়ের সাথে অশান্তি, কখনও মানুষের শত্রুতার মুখে এগিয়ে যেতে হয়। সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে মৃত্যুর মুখে ঝাপিয়ে পড়তেও দ্বিধাবোধ করেননা বাবা।
অথচ এই বাবা নামক নিরীহ মানুষটিকে নিগৃহীত হতে হয় প্রকৃতির কাছে, সন্তানের কাছে, বউয়ের কাছে। বাবা এই সমাজের মধ্যবিত্ত সংগ্রামী বাবার অনবদ্য সংগ্রামের গল্প। বইটিতে আপনি নিজেকে খুঁজে পাবেনই। বাবা হয়ে থাকলে বাবার স্থলে, বাবা না হলে সন্তানের জায়গায় নিজেকে মনে হবে। বাবা বইটি পৃথিবীর সব সন্তান ও বাবার অপত্য স্নেহের এক অনুপম প্রদর্শনী।
তো আর দেরি কেন? ঝটপট পাতা উল্টে শুরু করা যাক।
মো: সিরাজুল ইসলাম (এফসিএ)
দক্ষিণ বাংলার সীমান্তে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের কোলে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার
আটুলিয়া গ্রামে মোঃ সিরাজুল ইসলাম এফসিএ ১৯৭৬ সালের ২০ আগষ্ট জন্মগ্রহন করেন।স্মৃৃতিময় দুরন্ত
শৈশব ও বর্ণময় কৈশোর কেটেছে তার চাঁদের আলোয় রুপালি ঝিলিক তোলা ছোট্ট নদী চুনার তীরের নির্জন
গ্রামে মনের আনন্দে খেলে, নদীতে সাঁতার কেটে, মাছ ধরে । কখনো বা চাঁদনি রাতে ধবধবে সাদা জোছনার
বুকে একাকী বসে থেকে,যেখানে পূর্নিমা রাতে আকাশ ভেঙ্গে নামা শুভ্র জোছনার প্লাবনে ভেসে যায় পল্লির
মাঠ ,ঘাঠ, অবারিত প্রান্তর । কখনো বা জোনাক জ্বলা আঁধার রাতে তারার অলোয় পথ চলে । তিনি ১৯৯২
সালে এস,এস.সি পাস করার পর লেখালেখির জগতে প্রবেশ করেন। তিনি ১৯৯৮ সালে হিসাব বিজ্ঞানে
স্নাতোকোত্তর ডিগ্রী লাভের পর ২০১১ সালে ঈযধৎঃবৎবফ অপপড়ঁহঃধহঃ হিসাবে ছঁধষরভরবফ হন এবং
২০১৬ সালে ঋঈঅ ডিগ্রী লাভ করেন । বর্তমানে পেশাদার ঋবষষড়ি ঈযধৎঃবৎবফ অপপড়ঁহঃধহঃ(ঋঈঅ)
হিসাবে কর্মরত ।
পুরস্কার ঃ অতীশ দীপঙ্কর গবেষণা পরিষদ কর্তৃক অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক-২০১৯ পদকে ভূষিত হন। মহাতœা
গান্ধী গবেষণা পরিষদ কর্তৃক মহাতœা গান্ধী পিস অ্যাওয়ার্ড- ২০১৮ অর্জন করেন। ওমর সিরাজ জি কিউ
ফাউন্ডেশন কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক-২০১৮ লাভ করেন। রোহিঙ্গা জীবনের গল্প ‘‘সীমান্তের
ওপারে” উপন্যাসের জন্য অমর সাহিত্য সন্মাননা- ২০১৮ লাভ করেন । এ কাদের ফাউন্ডেশন কর্তৃক“ শিশির
ভেজা পথ” উপন্যাসের জন্য বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার-২০১৭ এবং সাউথ আটুলিয়া চ্যারিটি ফাউন্ডেশন
কর্তৃক“ শিশির ভেজা পথ” উপন্যাসে এইড্স নিয়ে জনসচেতনতায় অবদান রাখার জন্য বিশেষ সাহিত্য
পুরস্কার-২০১৭ পদকে ভূষিত হন।