ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ এ এক অদ্ভুত শহর। যে-শহরে বৃষ্টি পড়ে না, বাতাসে থকথক করছে কার্বন, সিসা, ধূলিবালি। গাছ নেই, বাগান নেই, জলাশয় নেই। চারদিকে গিজগিজ করছে মানুষ। পথে পথে যানজট। আর আছে বেকারত্ব। ইঞ্জিনিয়ার পাথর ভেঙে খায়, ডাক্তাররা ব্যাগ হাতে চিকিৎসা বিক্রি করে ফেরিওয়ালার মতো। সেই বেকারত্বের দিনে এ-শহরে দেখা হলো এক তরুণের সঙ্গে আরেক তরুণীর। পরিচয়পর্ব থেকে ঘনিষ্ঠতা। তাদের মধ্যখানে বাধার তারকাঁটা। উন্নয়নের নামে, সাহায্যের নামে, প্রকল্প-কর্মসূচির নামে কতো ভণ্ডামি, কতো প্রতারণা। এটা একটা বিজ্ঞানিক কল্পকাহিনী হতে পারতো। অন্তত হতে পারতো সোশ্যাল সায়েন্স ফিকশন। আদপে কী দাঁড়ালো এই রচনাটিঃ সামাজিক ফ্যান্টাসিৎ যা-ই হোক না কেন, এই উপন্যাসের মূলে কিন্তু আমাদের সময়, আমাদের সমাজ। সবসময় অভিনব, সবসময় অগতানুগতিক আনিসুল হক আবার লিখলেন নতুন কিছু। লিখলেন বিদ্রুপের উপন্যাস। যার প্রেরণা হয়তো গালিভার’স ট্রাভেল্স, হয়তো দি এনিম্যাল ফার্ম।
আনিসুল হক
জন্ম ৪ মার্চ ১৯৬৫, নীলফামারী জেলায় । শৈশব ও বাল্যকাল কেটেছে রংপুরে। পড়াশুনা করছেন পরীক্ষণ বিদ্যালয় রংপুর, রংপুর জিলা স্কুল, রংপুর কারমাইকেল কলেজ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, | ঢাকায়। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, রম্যরচনা, ভ্রমণকাহিনি, শিশুসাহিত্য-সাহিত্যের নানা শাখায় তিনি সক্রিয়। টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যও রচনা করেছেন । শিশু-কিশােরদের জন্যও লিখেছেন অনেক বই। ২০১৫ সালে প্রথমা থেকে বেরিয়েছে বাগানবাড়ি রহস্য পেয়েছেন। বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার ।