ধর্মান্ধ রালফ হোয়াইট আর মার্গারেট হোয়াইটের একমাত্র সন্তান ক্যারি। জন্মের পরপরই মা মার্গারেট হোয়াইটের চোখে ক্যারি মানেই জলজ্যান্ত এক শয়তান। অদ্ভুত এক ক্ষমতার অধিকারী এই মেয়েটি। টেলিকাইনেসিস নামের সেই ক্ষমতার বিকাশ তার মধ্যে প্রথম নয়, বরং এর উদ্ভব ঘটেছে আরো আগেই। বংশানুক্রমে কেবল নারীদেহে বেড়ে ওঠা এই ক্ষমতার চূড়ান্তরূপ বিকশিত হলো প্রম নাচের কালো রাতে, নিশ্চিহ্ন হলো চেম্বারলিন শহর। হাসিখুশি শহরটা একরাতেই পরিণত হলো বধ্যভূমিতে।
বেঁচে যাওয়া মানুষগুলোর স্বীকারোক্তি, বিভিন্ন গবেষণা, আর বিচারিক কার্যক্রমের সাথে স্টিফেন কিংয়ের বর্ণনায় পরিচয় মিলবে অসাধারণ শক্তির অধিকারী এক মেয়ের। সেই মেয়েটির নাম—ক্যারি হোয়াইট।
স্টিফেন কিং
জীবিতকালেই কিংবদন্তি হয়ে ওঠা লেখক স্টিফেন কিং-এর জন্ম ১৯৪৭ সালে আমেরিকার পাের্টল্যান্ড রাজ্যের মেইন শহরে। বয়স যখন মাত্র দু-বছর তখনই তার বাবা তাদের ছেড়ে চলে যায়, ফলে প্রচণ্ড দারিদ্রের মধ্যে বেড়ে ওঠেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি-সাহিত্যে ডিগ্রি নেবার পর হাইস্কুলের শিক্ষক হিসেবে কিছুদিন কাজ করেছেন। ১৯৭৪ সালে তার প্রথম উপন্যাস ক্যারি প্রকাশিত হলে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। রিটা হেওয়ার্থ অ্যান্ড শশাঙ্ক রিডেম্পশান তার ‘ডিফারেন্ট সিজন’ নামের একটি গল্পসঙ্কলনে নভেলা হিসেবে প্রকাশিত হয়। ছােট পরিসরের হলেও এই নভেলাটি কিং-এর উল্লেখযােগ্য একটি কাজ। ১৯৯৪ সালে এই নভেলাটি নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হলে সেটা সর্বকালের অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়। অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত স্টিফেন কিংকে ২০০৩ সালে আমেরিকার ন্যাশনাল বুক ফাউন্ডেশন বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয়। তার দুই ছেলেও লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বিশেষ করে জো হিল বর্তমান সময়ে বেশ ভালাে কিছু উপন্যাস উপহার দিয়েছেন। এ বয়সেও একের পর এক বেস্টসেলার উপহার দিয়ে যাচ্ছেন স্টিফেন কিং।