দ্য দা ভিঞ্চি কোড (হার্ডকভার) - ড্যান ব্রাউন | বইবাজার.কম

দ্য দা ভিঞ্চি কোড (হার্ডকভার)

    4.86 Ratings     7 Reviews

বইবাজার মূল্য : ৳ ৩৫০ (৩০% ছাড়ে)

মুদ্রিত মূল্য : ৳ ৫০০





WISHLIST


Related Bundles


Bundle Title Price
1
ড্যান ব্রাউনের সেরা ৫ বই

৳ ১৭৫৭



Overall Ratings (7)

Muhammad Mosharrof Hussain
09/04/2020

#রিভিউ বইঃ দি দা ভিঞ্চি কোড লেখকঃ ড্যান ব্রাউন অনুবাদঃ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন প্রকাশকঃ বাতিঘর প্রকাশনী ধরণঃ থ্রিলার বা রোমাঞ্চোপন্যাস পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৪৪৭ মূল্যঃ ২৩৮ টাকা (রকমারি) সার-সংক্ষেপঃ দু’হাজার বছরের পুরনো সত্যকে চিরতরে নির্মূল করার জন্যে একই দিনে চারজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। সত্যটি জনাজানি হয়ে গেলে হাজার বছরের ইতিহাস লিখতে হবে নতুন ক’রে। সত্যটি লালন ক’রে আসছে একটি গুপ্ত সংঘ-সেই গুপ্ত সংঘের সদস্য ছিলেন আইজ্যাক নিউটন, ভিক্টর হুগো, বত্তিচেল্লি আর লিওনার্দো দা ভিঞ্চির মতো ব্যক্তি। ওদিকে উগ্র ক্যাথলিক সংগঠন ওপাস দাই সেই সত্যকে চিরতরে নির্মূল করার আগেই গুপ্তসংঘের গ্র্যান্ডমাস্টার তার ঘনিষ্ঠ একজনের কাছে হস্তান্তর ক’রে দেয় আর ঘটনাচক্রে এরকম একটি মারাত্মক মিশনে জড়িয়ে পড়ে হারভার্ডের সিম্বোলজিস্টের এক প্রফেসর। পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ যিশুখ্রীস্ট। (আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৪ অব্দ – আনুমানিক ৩০ খ্রিস্টাব্দ) ছিলেন একজন ইহুদি ধর্মপ্রচারক, যিনি খ্রিস্টধর্মের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। কুমারি মাতা মেরির কোলে জন্ম নেয়া এই মহাপুরুষকে খ্রীস্টধর্মাবলম্বিরা ঈশ্বরের পুত্র হিসেবে দাবী করেন। ২৫শে ডিসেম্বর খ্রীস্টের জন্মদিন তাদের ধর্মীয় গুরুত্তপূর্ণ দিন। ধর্মানুসারে যীশু একজন সমাজ সংষ্কারকও ছিলেন বটে। তার অনেক ভক্ত ছিল। তিনি একেশ্বরবাদের ধর্ম প্রচার করতেন। পরবর্তিতে তৎকালীন সমাজের উগ্রমতবাদীরা তাকে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করে। লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি। ইতালীয় রেনেসাঁসের কালজয়ী চিত্রশিল্পী। অবশ্য বহুমুখী প্রতিভাধর লিওনার্দো দা ভিঞ্চির অন্যান্য পরিচয়ও সুবিদিত- ভাস্কর, স্থপতি, সঙ্গীতজ্ঞ, সমরযন্ত্রশিল্পী এবং বিংশ শতাব্দীর বহু বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের নেপথ্য জনক। তাঁর বিখ্যাত শিল্পকর্মগুলোর মধ্যে মোনালিসা, দ্য লাস্ট সাপার অন্যতম। এরমধ্যে মোনালিসার পর এই লাস্ট সাপার ছবিটিকেই লিওনার্দোর সেরা কীর্তি হিসেবে মনে করা হয়। ধারণা করা হয় ১৪৯৫-১৪৯৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে ছবিটি আঁকা হয়েছিলো। ছবিটিতে মাঝখানে উপবিস্ট যিশুখ্রিস্টকে তাঁর চারপাশে শিষ্যদের নিয়ে শেষ নৈশভোজরত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। যে নৈশভোজের বর্ণনা রয়েছে গস্পেল অব জন’এর ১৩:২১ ছত্রে, যেখানে যিশু বর্ণনা করেন তাঁর বারোজন শিষ্যের মধ্য হতে একজন পরদিনই তাঁর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবে। এবার আসি গল্পের কথায়। গল্পের শুরু হয় প্যারিসের লুভর মিউজিয়ামের কিউরেটরের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে। বিভৎসভাবে মৃত্যু হয় তার। কিন্তু তার ভেতরেও থেকে যায় রহস্য। অদ্ভুতভাবে একধরণের চিনহ রেখে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তাজ্জব বনে যায় পুলিশ। ঘটনাচক্রে মৃত্যুটির সাথে জড়িয়ে পড়েন হারভার্ড ইউনিভার্সিটির সিম্বলজির প্রসেফর রবার্ট ল্যাংডন। প্রচ্ছন্নভাবে খুনের দায় গিয়ে পড়ে তার উপর। সাহায্য করতে এগিয়ে আসে একজন মহিলা পুলিশ। তারপর শুরু হয় অভিযান। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার অভিযান। আস্তে আস্তে কিছু আশ্চর্য সত্যের সম্মুখিত হতে থাকে ল্যাংডন। বেরিয়ে আসে কিছু সত্য যা আগে কেউ জানতো না। চরম এক সড়যন্ত্রের জালে জড়িয়ে পড়ে সে। লেখক ড্যান ব্রাউনের ২য় বই এটি। তার প্রথম বইয়ের নাম এঞ্জেলস অ্যান্ড ডেমন্স। সেটিও এই ল্যাংডনকে নিয়ে লেখা। রবার্ট ল্যাংডনকে নিয়ে লেখক এখন পর্যন্ত ৪টি বই লিখেছেন। কিন্তু তার মধ্যে সবচেয়ে বেশী সফলতা পেয়েছে দ্য ভিঞ্চি কোড। ইতিহাস, পুরান, শিল্প, সব মিলিয়ে পুরো প্যাকাজের মত করে লিখেছেন লেখক। এমনকি তিনি গল্পে এমনকিছু ব্যাপার তুলে ধরেছিলেন, যে স্বয়ং পোপ ‘ফতোয়া’ জারি করেছন, সত্যিকারের ক্যাথলিক হলে এ বই যেনো কেউ না পড়ে। এখন বলি অনুবাদের দিকটা। দ্য ভিঞ্চি কোড বইটির এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য ৩টি বাংলা অনুবাদ রয়েছে। তার ভেতর সর্বপ্রথমটি করেন বাতিঘর প্রকাশনীর কর্ণধার, লেখক, অনুবাদক “মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। বইটি বের হয় ২০০৫ সালের আগস্ট মাসে। আমার জানামতে এটি তাঁর করা প্রথম অনুবাদগ্রন্থ। তাই প্রথম বই হিসেবে একেবারে খারাপ হয়নি বইটি। ভাষা বেশ সাবলিল ছিল। তবে উপস্থাপণ ও বানানে ভুল ছিল প্রচুর। পরবর্তিতে অন্যান্য সংস্করণে বানানের দূর্বলতাটা কিছুটা কাটানো হয়েছে। কিন্তু এতকিছুর ভেতরেও ভিঞ্চি কোডের অনুবাদ্গুলোর মধ্যে এটিই সবথেকে বেশি পাঠক প্রিয়তা পেয়ে আসছে! উল্লেখ্য যে, ভিঞ্চি কোডের আরো একজন অনুবাদক আছেন। তিনি হচ্ছেন শেখ আবদুল হাকিম। যারা সেবা প্রকাশনীর বই নিয়মিত পড়েছেন বা পড়েন তাদের কাছে এটি অনেক সুপরিচিত নাম। এই ভদ্রলোকের অনুবাদ বেশ ভালো। এমনকি নাজিম সাহেবের থেকেও। তবে তার বইয়ের প্রচারণা কম ও দাম বেশি হওয়ায়, অনেকেই পড়তে পারেন না। ২০০৬ সালে এই বইটি অবলম্বনে হলিউডে মুভি তৈরী হয়। রবার্ট ল্যাংডনের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন খ্যাতনামা অভিনেতা টম হ্যাংকস। ছবিটা সেই বছর অন্যতম ব্যবসাসফল ছবিতে পরিণত হয়। কিন্তু পাঠকগণ, দয়া করে সিনেমার কথা শুনে বইটি পড়া থেকে বিরত থাকবেন না। কারণ বইটি না পড়লে সিনেমার অর্ধেকই বুঝবেন না কিংবা কাহিনীর পরিপূর্ণ মজাটা পাবেন না!  বইয়ের বাহ্যিক দিকের কথা আর কি বলবো... প্রচ্ছদ, কাগজের মান, বাঁধাই, কভার সব কিছুই বেশ সুন্দর ও আকর্ষনীয়। দামও সাধ্যের ভেতর। সবশেষে এটাই বলবো, যারা এখনো পড়েন নি বইটি, পড়ে ফেলুন। ভালো লাগবে। আর হ্যাঁ! আপনারা সবাই হয়ত লক্ষ্য করেছেন, আমি রিভিউ এর প্রথমে যিশু আর লিওনার্দো ভিঞ্চির লাস্ট সাপার নিয়ে একটু জ্ঞান দিয়েছি। ওটা কেন দিলাম? বইটা পড়েন, বুঝতে পারবেন!  রেটিংঃ ৪/৫


Hafsa
09/07/2019

দু’হাজার বছরের পুরনো সত্যকে চিরতরে নির্মূল করার জন্যে একই দিনে চারজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। সত্যটি জনাজানি হয়ে গেলে হাজার বছরের ইতিহাস লিখতে হবে নতুন ক’রে। সত্যটি লালন ক’রে আসছে একটি গুপ্ত সংঘ-সেই গুপ্ত সংঘের সদস্য ছিলেন আইজ্যাক নিউটন, ভিক্টর হুগো, বত্তিচেল্লি আর লিওনার্দো দা ভিঞ্চির মতো ব্যক্তি। ওদিকে উগ্র ক্যাথলিক সংগঠন ওপাস দাই সেই সত্যকে চিরতরে নির্মূল করার আগেই গুপ্তসংঘের গ্র্যান্ডমাস্টার তার ঘনিষ্ঠ একজনের কাছে হস্তান্তর ক’রে দেয় আর ঘটনাচক্রে এরকম একটি মারাত্মক মিশনে জড়িয়ে পড়ে হারভার্ডের সিম্বোলজিস্টের এক প্রফেসর। পাঠকের মনোজগত নাড়িয়ে দেবার ক্ষমতা রাখে বইটি।


Ahmed
09/07/2019

One of the best murder mystery novels I have read ever. This is the book that a person must have in his self.It won't let you to leave in between and make you to reach to next page as there is a suspense on each and every page.If you are looking for a decent book to read from than beleive me this is the one.Albeit the book is a bit of lengthy one but it doesn't count when it comes to suspense and mystery it holds within itself just go for it.This site is doing very good job by making us available what we need and that too in short stint of time..I loved the book hope you will also love the book its full of fervent..Don't forget to write a reveiw on the product you buy as that will help others to choose from..


Zahin
31/03/2019

লেখক: ড্যান ব্রাউন অনুবাদক: মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ধরণ:থ্রিলার উপন্যাস প্রকাশনা: বাতিঘর প্রকাশনী বইবাজার মূল্য: ২৮৪ টাকা পৃথিবীর মানুষের মধ্যে জরিপ করা হয়েছিল কেও যদি মঙ্গলে যেতে চায়, তাহলে তারা পৃথিবী থেকে কী নিয়ে যাবে? যে একটি বইয়ের নাম সবচেয়ে বেশি উঠে এসেছিল তার নাম 'দ্য দা ভিঞ্চি কোড'। একটি বিখ্যাত মিউজিয়ামের কিউরেটর জ্যাক সনিয়ে তার অফিসে আততায়ীর হাতে খুন হন। কিন্তু এই খুনের পিছনে কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল না। ছিল এক গোপন জ্ঞান, যাকে হাত করে রাখার অভিলিপ্সা। কিন্তু কী ছিল সেই জ্ঞান যা ধারণ করার জন্য একই রাতে চারজন বিখ্যাত ব্যাক্তিকে মারা যেতে হল? সেই জ্ঞানের সাথে তার নাতনী সোফির সম্পর্ক কী? কেনই বা মৃত্যুর আগে সনিয়ে লিখে গেলেন 'ওহ ড্রাকোনিয়ান ডেভিল, O lame saint. PS, রবার্ট ল্যাংডনকে খুজে বের কর'। পুলিশ ধরেই নিয়েছে ল্যাংডনই খুনী। ল্যাংডন কী পারবে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার পাশাপাশি সত্যের কাছাকাছি পৌছাতে? কিন্তু এ সব কিছুর সাথে চার্চের কী সম্পর্ক?? কিভাবেই বা এর সাথে জড়িয়ে গেছে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি, মোনালিসা, দ্য লাস্ট সাপার এর মত চিত্রকর্ম? কোডের ভিতরে কোড, হেয়ালির ভিতরে হেয়ালি, এসবকিছু নিয়ে এ বই এগিয়েছে রেসিংকারের গতিতে। যা পড়তে পড়তে পিপলস ম্যাগাজিনের ভাষায়, পালস বাড়িয়ে আপনার মাথা ঘুরিয়ে দেবে। এর রেটিং ৯/১০


Amatullah Tasmin
29/03/2019

বুক-রিভিউ ১ বই:দ্য ভিঞ্চি কোড লেখক:ড্যান ব্রাউন অনুবাদ:মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন . এক রাতে খুন হল চার জন বিখ্যাত ব্যক্তি। নৃশংসভাবে মেরে ফেলা হয় তাদের।তার মধ্যে একজন খুন হয় লুভর মিউজিয়াম এর কিউরেটর জ্যাক সনিয়ে , যিনি তার লাশের পাশে কিছু কোড ও অ্যানাগ্রাম লিখে যান। এই চার জন ব্যক্তি ছিলেন খুব গোপন এক সংঘের সদস্য। তারা বংশপরম্পরায় এক সিক্রেট বহন করছেন, যা প্রকাশ পেলে হয়তো পৃথিবীর ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে হবে । খুন হওয়া চার জন ছাড়া এই পৃথিবীতে আর কেউ সেই সিক্রেট জানতো না।ঘটনা চক্রে জড়িয়ে পড়েন হারভার্ড ইউনিভার্সিটির সিম্বলজির প্রসেফর রবার্ট ল্যাংডন।খুনের দায় গিয়ে পড়ে তার উপর। নিজেকে নিরপরাধ প্রমান করতে অভিযান শুরু করেন। তারপর বের হয়ে আসে এমন সব বিষয়ের সত্যতা যা দুনিয়া আগে জানতনা। জ্যাক সনিয়ের লিখে যাওয়া কোড ও অ্যানাগ্রাম কি সিক্রেটটিকে আজীবনের জন্য হারিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে ?রবার্ট ল্যাংডন কি পারবে নিজেকে নিরপরাধ প্রমান করতে? . দারুন একটা বই। প্রতিটি লাইনে রয়েছে অসাধারণ থ্রিল সেই সাথে এমন সব তথ্য বইটিতে আছে যা সত্যি চমকপ্রদ এবং আপনাকে বইয়ের সাথে আটকে রাখতে বাধ্য করবে | যারা রহস্য ভালবাসেন, সিম্বোলিজম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। তাদের জন্য এটা খুবই ভাল বই।বইটি সম্পর্কে জার্নালিস্ট Janet Maslin বলেন, কোড ব্রেকিং, বিভিন্ন হেঁয়ালি থেকে মুল তথ্য বের করা,এসব কিছু থেকে বলা যায়, এটা ব্লকবাস্টার পারফেকশন এবং শুধুমাত্র একটাই শব্দ; ওয়াও ।ফিল্ম সমালোচক এবং লেখক Roger Ebert এর রিভিউতে বলেন " আমি প্রত্যেকদিন একটু সময়ের জন্য হলেও দ্য ভিঞ্চি কোড পড়ি, নিজেকে এটা মনে করানোর জন্য, জীবন অনেক ছোট, আর সেখানে দ্য ভিঞ্চি কোডের মত বই একজীবনে সবসময় আসে না।" ‘দ্য ভিঞ্চি কোড’ পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বাধিক বিক্রিত বই । বইটি এই পর্যন্ত ৪১ টি ভাষায় অনুবাদ করে প্রকাশিত হয়েছে । এছাড়াও প্রায় ১১০ মিলিয়ন কপি এই পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ।বইটিতে জ্যাক সনিয়ে, পি. এস. সোফি, বেজু ফশে, সাইলাস, আরিঙ্গারোসা সহ সবগুলা চরিত্রকে জীবন্ত মনে হয়েছে। মুল বইটির লেখক ড্যান ব্রাউন । কোড ব্রেকিং আর ছদ্মবেশী সরকারী এজেন্সিগুলো এর প্রতি আগ্রহ থেকেই তিনি দ্য ভিঞ্চি কোড বইটি লিখেছেন।ড্যান ব্রাউন একাধিক বেস্ট সেলার উপন্যাসের লেখক, তাঁর ‘দ্য দা ভিঞ্চি কোড’ সর্বকালের সেরা বিক্রি হওয়া উপন্যাসের অন্যতম। সাম্প্রতিক সময়ে টাইম ম্যাগাজিনের নির্বাচনে বিশ্বের সবচাইতে প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় তাঁর নাম স্থান পায়। # বইবাজার_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_মার্চ_২০১৯


Asif Romman
29/03/2019

বইঃ দ্য দা ভিঞ্চি কোড লেখকঃ ড্যান ব্রাউন অনুবাদকঃ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন প্রকাশনীঃ বাতিঘর প্রকাশনী মুদ্রিত মূল্যঃ ৪০০ টাকা PS - প্রায়োরি অব সাইওন। একটি গুপ্ত ভ্রাতৃসংঘ- যা প্রতিষ্ঠিত হয় ১০৯৯ সালে। যারা দীর্ঘদিন ধরে ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিক্রেট রক্ষা করে আসছে। যা প্রকাশ পেয়ে গেলে বদলে যাবে পৃথিবীর অনেক মানুষের জীবন, আর ধর্মবিশ্বাস। একটি নির্দিষ্ট সময়ে এসে প্রকাশ করবে বলেই "হলি গ্রেইল" নামে পরিচিত সিক্রেটটি প্রায়োরি অব সাইওন সংরক্ষণ করে এসেছে। একই সময়ে তিনজন সেনেশ্য ও একজন গ্র‍্যান্ডমাস্টার এই গুপ্ত সংঘের পদে অধিষ্টিত থাকে। শুধুমাত্র এই চারজন ব্যাক্তিই কেবল জানে হলি গ্রেইলের অবস্থান। আর "কী স্টোন" নামের এক সংকেত বা মানচিত্র হলি গ্রেইলের সঠিক অবস্থান নির্দেশ করবে। বত্তিচেল্লি, ভিঞ্চি, বয়েল, নিউটন, র‍্যাডক্লিফ, ভিক্টর হুগোর মতো বিখ্যাত ব্যাক্তিরা ছিলেন প্রায়োরি অব সাইওনের গ্র‍্যান্ডমাস্টার। জ্যাক সনিয়ে। যিনি প্যারিসের লুভর মিউজিয়ামের কিউরেটর। একই সাথে তিনি প্রায়োরি অব সাইওনের গ্র‍্যান্ডমাস্টার। জ্যাক সনিয়ের খুনের মধ্য দিয়েই গল্প শুরু হয়। আর এর মধ্য দিয়ে একটি সন্দেহ প্রকট হয় যে ভ্রাতৃসংঘে অনুপ্রবেশ ঘটেছে অথবা ভ্রাতৃসংঘের কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। PS - প্রিন্সেস সোফি। যদিও আসল নাম সোফি নেভু, কিন্তু তার দাদা জ্যাক সনিয়ে তাকে প্রিন্সেস সোফি বলেই ডাকতেন। সোফি ফরাসি পুলিশের ক্রিপ্টোগ্রাফি ডিপার্টমেন্টে কাজ করে। দাদার সাথে এক ভুল বুঝাবুঝির কারণে শেষ দশ বছর তাদের মধ্যে কোন যোগাযোগ হয়নি। কিন্তু জ্যাক সনিয়ের মৃত্যু সোফিকে আবার তার দাদার কাছে নিয়ে এসেছে। জ্যাক সনিয়ে এনাগ্রাম নিয়ে কাজ করতে ভালোবাসতেন। মৃত্যুর আগে তার সর্বশেষ কাজটিও ছিল একটি এনাগ্রাম। মৃতদেহের পাশে মাটিতে লিখে গিয়েছিলেন- "O DRACONIAN DAVIL OH' LAME SAINT" যা বিশ্লেষণ করে পাওয়া যায়- "Lionardo Da Vinci The Monalisa" এই দুইটি এনাগ্রামের পাশে আরো একটি কথা লিখা ছিল। "পি.এস. রবার্ট ল্যাংডনকে খুঁজে বের করো"। এই কথাটা ডিসিপিজে প্রধান বেজু ফসের কাছে ল্যাংডনকে জ্যাক সনিয়ের খুনের প্রধান সন্দেহভাজনে পরিণত করার পাশাপাশি সোফি নেভুর সান্নিধ্যেও নিয়ে আসে। ল্যাংডন হারভার্ডের একজন বিখ্যাত সিম্বোলজিস্ট। পরবর্তীতে ল্যাংডন ও সোফি মিলে বের করে ফেলে পর্বততূল্য এক রহস্যের সমাধান। ওপাশ দেই- ভ্যাটিকানের একটি অঙ্গ সঙ্ঘটন। তারা তাদের কাজের জন্য বেশ সমালোচিত। ওপাশ দেই'র প্রধান- বিশপ আরিঙ্গারোসা হন্য হয়ে খুঁজছেন হলি গ্রেইলের অবস্থান। এজন্য তিনি ধরনা দিয়েছেন টিচার নামে পরিচয় দেয়া অজ্ঞাত এক ব্যাক্তির কাছে। আর তার শিষ্য সাইলাসকে নিযুক্ত করেছেন হলি গ্রেইল তথা কী স্টোন উদ্ধারের কর্মযজ্ঞে। লেই টিবিং, যিনি একজন হলি গ্রেইল গবেষক। জীবনের বেশিরভাগ সময় ব্যয় করেছেন হলি গ্রেইল অনুসন্ধান করে। যিনি "নাইট" উপাধি পাওয়া একজন বৃটিশ নাগরিক হয়েও হলি গ্রেইল অনুসন্ধানকে জীবনের একমাত্র সাধনা হিসেবে নিয়ে প্যারিসে বসবাস করছেন। যিনি পরবর্তীতে গল্পের নিয়ন্ত্রকের আসনে অধিষ্ঠিত হবেন। এভাবে পর্যায়ক্রমে গল্পে লেফটেন্যান্ট কুলেত, ডিপোজিটরি ব্যাংক অব জুরিখ এর প্যারিস শাখার প্রধান আঁদ্রে ভার্নেতের আগমন ঘটে। এই বইয়ের অন্যতম চিত্তাকর্ষক বিষয় হলো লেখক গল্প বলার মাঝেমাঝে এমন সব চমকপ্রদ তথ্য আর ইতিহাসের সম্মিলন ঘটিয়েছেন যার বেশিরভাগই সাধারণ মানুষের নাগালের বাহিরে। বিশাল রহস্যে ভরপুর এই উপন্যাসের রহস্যের সমাধান দুই লাইনের রিভিউওতে বলা মোটেও সহজসাধ্য কাজ নয়। তারজন্য পাঠককে ধরনা দিতে হবে "দা ভিঞ্চি কোড" এর জগতে। #বইবাজার_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_মার্চ_২০১৯


অর্ণব
24/12/2018

“দ্য দা ভিঞ্চি কোড” সেই বিখ্যাত বই যা পুরো বিশ্বকে একটি নাড়া দিয়েছে। বইটা পড়ার পর নিজের কাছে অনেক ভালো লাগলো,যে মন্তব্য না করে পারলাম না। যাই হোক বই বাজার ডটকম থেকে বইটি অর্ডার করার পর যখন বইটি হাতে পেলাম এবং পড়ার পর মনে হচ্ছে আমার কষ্টের টাকাটা নষ্ট হয়নি। বইটি পড়ে আমি এমন কিছু তথ্য জানতে পেরেছি যা আমাকে অভাক করে দিয়েছে। সত্যিই বইটি চমকপ্রদ।


PAYMENT OPTIONS

Copyrights © 2018-2024 BoiBazar.com