ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ * তিনি ও সে * বোকাভূ * মজার ভূত * তোমাদের জন্য রূপকথা * নীল হাতী * পরীর মেয়ে মেঘবতী * চেরাগের দৈত্য এবং বাবলু
ভূমিকা আমার লেখালেখির বয়স ত্রিশ। ত্রিশ বছর ধরে লিখছি- গল্প, উপন্যাস, বৈজ্ঞানিক কল্প কাহিনী, ভূত-প্রেত বিষয়ক জটিলতা, শিশুতোষ রচনা। একজন যখন ত্রিশ বছর বিরতি ছাড়া লিখে যায় তখন একটা ব্যাপার ঘটে। শেষ বেলায় হিসাব মিলাতে গিয়ে সে ভড়কে যায়। ভুরু কুঁচকে ভাবে-এত লেখা কখন লিখলাম?
আমার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ঘটেছে শিশুতোষ রচনার একটি নির্বাচিত সংকলন বের করতে গিয়ে। খুবই অবাক হয়ে নিজেকেই প্রশ্ন করেছি বাচ্চাদের জন্যে এত লেখা কখন লিখলাম? সংকলনের লেখাগুলি পড়েও আনন্দ পেয়েছি (এটা আমার একটা সমস্যা। নিজের লেকা পড়ে সব সময় আনন্দ পাই। বড় লেখকদের মত কখনোই মনে হয় না-কি সব ছাইপাশ লিখছি!)
অনন্যা শিশুতোষ রচনার এই সংকলনটি- ‘ছোটদের যত লেখা’ বের করছে। তাদের ধন্যবাদ। তাদের কল্যাণে আবারো সেজেগুজে শিশুদের সামনে উপস্থিত হচ্ছি। বাহ ভালতো!
হুমায়ূন আহমেদ নুহাশ পল্লী, গাজীপুর
হুমায়ূন আহমেদ
কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে ‘নন্দিত নরকের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ। এই উপন্যাসে নিম্নমধ্যবিত্ত এক পরিবারের যাপিত জীবনের আনন্দ-বেদনা, স্বপ্ন, মর্মান্তিক ট্রাজেডি মূর্ত হয়ে উঠেছে। নগরজীবনের পটভূমিতেই তাঁর অধিকাংশ উপন্যাস রচিত। তবে গ্রামীণ জীবনের চিত্রও গভীর মমতায় তুলে ধরেছেন এই কথাশিল্পী। এর উজ্জ্বল উদাহরণ অচিনপুর ফেরা মধ্যাহ্ন মুক্তিযুদ্ধ বারবার তাঁর লেখায় ফুঠে উঠেছে। এই কথার উজ্জ্বল স্বাক্ষর জোছনা ও জননীর গল্প ১৯৭১ আগুনের পরশমণি শ্যামল ছায়া নির্বাসন প্রভৃতি। উপন্যাস গৌরীপুর জংশন যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ চাঁদের আলােয় কয়েকজন যুবক'-এ জীবন ও চারপাশকে দেখার ভিন্ন দৃষ্টিকোণ মূর্ত হয়ে উঠেছে ‘বাদশা নামদার’ ও ‘মাতাল হাওয়ায় । অতীত ও নিকট-অতীতের রাজরাজড়া ও সাধারণ মানুষের গল্প ইতিহাস থেকে উঠে এসেছে। গল্পকার হিসেবেও হুমায়ূন আহমেদ ভিন্ন দ্যুতিতে উদ্ভাসিত। ভ্রমণকাহিনি, রূপকথা, শিশুতােষ, কল্পবিজ্ঞান, আত্মজৈবনিক, কলামসহ সাহিত্যের বহু শাখায় তাঁর বিচরণ ও সিদ্ধি।
হুমায়ুন আহমেদের জন্ম ১৩ নভেম্বর ১৯৪৮ এবং মৃত্যু ১৯ জুলাই ২০১২।