গল্প দিয়ে জীবনকে ছুঁয়ে দেখা যায়। জীবনের গল্পের মতো, গল্পেরও কি জীবন থাকে? থাকে হয়তো! গল্পের অলিতে-গলিতে ছড়িয়ে থাকা নানা অনুসঙ্গ তো আমাদের প্রাত্যহিক জীবনেরই প্রতিচ্ছবি! তার চরিত্র আমাদের ছায়া। যাপিত জীবনের নানামুখী দুঃখ ভোলার প্রয়াসে এবারের একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে গল্পকার সোহেল নওরোজের দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ ‘ডানাভাঙা শালিকের সুখ’। বইটিতে ভিন্ন স্বাদের মোট ১৬টি গল্প স্থান পেয়েছে। মনের গহীনে সচেতনে-অচেতনে খেলা করা সুখ-দুঃখের হাজারও অনুভূতিকে মলাটবন্দী করতে লেখক গল্পগুলোকে বেছে নিয়েছেন। বইটি পড়তে গিয়ে বোধের দরজায় উঁকি দেওয়া মন হঠাৎ করে রোদবালিকার জন্য দ্রবীভূত হবে। ছায়াশরীরী নূপুরের নিক্কন শুনতে পাবে কেউ। বাদলদিনে অপ্রত্যাশিত হয়ে ওঠা তৃতীয় কদমটি পেতে পৃষ্ঠার মতো পথও বদলাতে হবে। কখনো মনে হবে পৃথিবীতে রাত না নামলেই বোধ হয় ভালো হতো! তবু কেন রোজ নিয়ম করে অন্ধকার ঝাঁপি খোলে, বিষাদ ছড়ায় আপন খেয়ালে? এমন দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মাঝেই কখনো আবার গল্পের ঘোরে হঠাৎ করে জেগে উঠবে প্রেমিক হৃদয়। বলতে ইচ্ছা হবে, আরেকবার আমি প্রেমিক হবো।