অপরাজিতা অবাক হয় এহসানের এহেন কথায়। বিশেষ করে লোকটার দেওয়া অপু নামটা শুনে একটু বেশিই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল। লোকটার স্বভাবই সবসময় এমন উলটা-পালটা কথা বলা। যে কথার কোনো আগাগোড়া খুঁজে পায় না সে। এই মুহূর্তেও তাই কথাটির অর্থ না—বুঝেই শুধাল, “চাঁদ কেন ঈর্ষা করতে যাবে?”
“চাঁদের বিকল্প হিসেবে এই পৃথিবীতে তুমি নামক একটি চাঁদ আছ বলে।”
অপরাজিতা মোটেও এমন কিছু আশা করেনি। সে হতভম্ব দৃষ্টিতে চাইল তার বিপরীত দিকের বারান্দায় দাঁড়ানো সুঠামদেহী পুরুষটার দিকে। পাশের বারান্দা থেকে তখন হো হো করে উচ্চহাসির শব্দ ভেসে এলো। লোকটা হাসতে হাসতে বলল, “অপু, তোমাকে কেন এত আমার-আমার লাগে?”
অপরাজিতা আর এক মুহূর্ত অপেক্ষা করল না। বিড়বিড় করে 'অসভ্য' বলেই রুমে চলে গেল সে। বারান্দার দরজাটা সশব্দে আটকে দিল। আটকে দিতেই বিপরীত দিকের বারান্দা থেকে ভেসে এলো এহসানের উচ্চকণ্ঠ, “অপু, তোমার ওই দখিনা দুয়ার একদিন এহসানের জন্যই খুলবে, দেখে নিয়ো।”