দুধ চা খেয়ে তোকে গুলি করে দেব (হার্ডকভার) - জাহিদ হোসেন | বইবাজার.কম

দুধ চা খেয়ে তোকে গুলি করে দেব (হার্ডকভার)

    4.33 Ratings     3 Reviews

বইবাজার মূল্য : ৳ ৩১৫ (৩০% ছাড়ে)

মুদ্রিত মূল্য : ৳ ৪৫০





WISHLIST


Overall Ratings (3)

Muhammad Mosharrof Hussain
22/04/2020

রিভিউঃ দুধ চা খেয়ে তোকে গুলি করে দিবো। লেখকঃ জাহিদ হোসেন। প্রকাশকঃ বাতিঘর প্রকাশনী। প্রকাশকালঃ বইমেলা ২০১৯। প্রচ্ছদঃ ডিলান। পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ২৫৬। মুদ্রিত মূল্যঃ ৩০০৳ রেটিং: ৩/৫ দুধ চা খেতে খেতে চিন্তার সাগরে ভেসে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশের সিনিয়র গোয়েন্দা রফিকুল ইসলাম। তার চিন্তার কারন ঢাকা শহরের রহস্যময় চার চারটি খুন। প্রতিটা খুনের ধরন এক রকম। চায়ের দোকানের পাশের দেয়ালে এক গ্রাফিতি আকাঁ থাকে। যেখানে দেখা যায় এক পিস্তল ধারী আততায়ী কাওকে ধাওয়া করছে। যাকে ধাওয়া করা হচ্ছে তার শরীর রক্তাক্ত। দেহ থেকে তিন ফোঁটা রক্ত বের হচ্ছে। আর গ্রাফিতির পাশে লিখা, "দুধ চা খেয়ে তোকে গুলি করে দিবো!" প্রতিটা লাশের পাশেই খুনি একটা ট্রেতে আধখাওয়া এক কাপ চা, তিনটা বিস্কুট আর যেই গুলি দিয়ে খুন করা হয়েছে সেই গুলিটা একটা প্যাকেটে মুড়িয়ে রেখে যায়। যাদের খুন করা হচ্ছে তাদের কারো সাথে কারো যোগসূত্র খুজে পায় না সিনিয়র গোয়েন্দা রফিকুল ইসলাম। এই রহস্যের সমাধান করতে তিনি চলে যান চট্টগ্রাম। "দ্য টি অভ শ্যানং!" এই নামের একটা আর্টিকেল লিখে চারদিকে সাড়া ফেলে দেয় ড মেহবুব আরেফিন।এই আর্টিকেলে তিনি বলেন দেবতা শ্যানং এর কথা। তিনি চায়ের পাতা খেয়ে কিভাবে অমরত্ব লাভ করেছিলেন। চায়না থেকে দেশে ফিরেই সম্পূর্ণ অন্য সাবজেক্টের এই আর্টিকেলটি লিখার কারনে আমেরিকান সি আই এ, রাশিয়ান গোয়েন্দা, বাংলাদেশী গোয়েন্দা সংগঠন ঘুঘু, চায়নার গুপ্ত চোখ কাল্ট সহ আরো অনেক সংগঠন তার পিছে পরে যায়। তার পিছু নেয়ার কারন একটাই! সবাই ধারণা করে ড মেহবুব আরেফিন চায়না থেকে অমরত্ব লাভের মহৌষধ নিয়ে এসেছে! সব গুলো সংগঠনের একটাই ইচ্ছা অমরত্ব লাভের সেই মহৌষধ নিজেদের আয়ত্বে আনা! আর এদিকে এই আর্টিকেল লিখার কিছুদিনের মধ্যেই খুন হয়ে যান ড মেহবুব আরেফিন। কসাই কাশেম ভরা রাস্তায় নিজের দোকানের সামনে এক কোপে ড মেহবুব আরেফিনের ব্রেইন বের করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।... শাহবাগের রহস্যময় চা বিক্রেতা মান্নান মিয়া। তার এই চায়ের দোকান খুব বিখ্যাত। তার সম্পর্কে কেউ কিছু না জানলেও তার হাতের চায়ের কথা অনেকেরই জানা। তার হাতের এক কাপ চা খেলে কারো মন ভরে না। দু/তিন কাপ খেতেই হয়। মান্নান মিয়া এমনিতে চুপচাপ কিন্তু কথায় কথায় অদ্ভুত অদ্ভুত গল্প বানাতে তার জুড়ি নেই। বৃষ্টির সময় তার মন ভালো থাকে৷ আর তার যখন মন ভালো থাকে তখন সে কাষ্টমার দের অদ্ভুত অদ্ভুত গল্প শোনায়। এই রহস্যময় লোকটার বিখ্যাত চায়ের দোকানটা মাঝে মাঝে বদ্ধ থাকে। তখন সে কোথায় যায় কি করে কেউই কিছু জানে না… আর এদিকে পুলিশের সিনিয়র গোয়েন্দা রফিকুল ইসলাম চট্টগ্রামে তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারেন দু বছর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে কে বা কারা যেনো "দুধ চা খেয়ে তোকে গুলি করে দিবো" গ্রাফিতি টা একেঁছিলো...! এর অঙ্কন শিল্পী কে খুঁজতে গিয়ে রফিকুল ইসলাম আরো এক লাশের দেখা পায়। অর্ধ পচা এই লাশটার মাথায় গুলি করে মারা হয়েছিলো কিছু দিন আগে! তাহলে, কে এই খুনি? কেই বা সেই দুধ চা কিলার? আর এই গ্রাফিতি যদি দুই বছর আগেই আঁকা হয়ে থাকে, তাহলে এটা কে একেঁছিলো? আর কেইবা সেই গ্রাফিতিকে কপি করে একের পর এক খুন করে চলছে?! আর ড মেহবুব আরেফিন কি সত্যিই অমরত্ব লাভের মহৌষধ চায়না থেকে নিয়ে এসেছিলো? যদি এনেই থাকে তাহলে সেটা কোথায়? আর অমরত্ব লাভের সেই মহৌষধের পিছনে পরা আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থা গুলো কি সেই মহৌষধ পেয়েছিলো?যদি পেয়েই থাকে তবে সেটা কে পেয়েছিলো? আর কেই বা সেই অদ্ভুত গল্পকার চা বিক্রেতা মান্নান মিয়া? আর ড মেহবুব কে ভরা রাস্তায় কসাই কাশেম কেনোই বা কোপ মেরেছিলো? এই সকল প্রশ্নের উত্তর আপনারা জাহিদ হাসানের "দুধ চা খেয়ে তোকে গুলি করে দিবো" বইটাতে পাবেন। পাঠ পতিক্রয়াঃ আমি সাধারণত থ্রিলার বই পড়তে বেশি সময় নেই না।যতোক্ষন পড়া শেষ না হয় ততোক্ষণ মাথার ভিতরে শুধু কাহিনী টা ঘুরতেই থাকে। কিন্তু এই বইটা পড়তে আমার বহু কষ্ট আর সময় নিতে হইছে। গল্পের প্রথম দিকটা ভালোই লাগছিলো। কাহিনী খুব সুন্দর এগোচ্ছিলো। কিন্তু কয়েক অধ্যায় পড়ার পর বিরক্ততা এসে ভর করলো। এতো এতো চরিত্রের ঘোরপেঁচে পরে আমি গল্পের কাহিনীই বার বার ভুলে যাচ্ছিলাম। এতো এতো চরিত্র আর তাদের অতিরিক্ত বর্ণনা পড়তে পড়তে অন্য চরিত্র গুলোর নাম ধাম ভুলে যাচ্ছিলাম বারবার। কিন্ত শেষের দিকে এসে গল্পের কাহিনীটা আবারো ভালো লাগছিলো। গল্পের মাঝখানে হারিয়ে যাওয়া থ্রিলটা আবারো ফিরে পেয়েছিলাম আমি। এই বইয়ের যেটা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে সেটা হলো এই গল্পের প্লট টা! গল্পের প্লটটা ছিলো ইন্টারেস্টিং।গল্পের কয়েকটা জায়গা আমাকে অবাক করেছে খুব। এই বইটিতে লেখক দুধ চা কিলারকে নিয়ে ধোঁয়াশা রেখে গেছেন যেটা আমার ভালো লাগেনি। তিনি আরেকটু স্পষ্ট করে যেতে পারতেন। তাছাড়া এই বইটিতে লেখক 'গু' আর 'পাছা' নিয়ে একটু বেশিই বাড়াবাড়ি করেছেন। 'গু' নিয়ে এতো কথা এর আগে আমি কোনো বইয়ে পড়েছি বলে মন হয়না। আরেকটা জিনিস বিরক্ত করেছে বারবার সেটা হচ্ছে এই বইয়ে অনেকেই মুত্রত্যাগ করতে করতে নিজের মুত্রে মুখ থুবড়ে পরেছে! সবশেষে বলবো মোটামুটি পর্যায়ের বই হলো দুধ চা। খারাপও না আবার বেশি ভালোও না। যারা ডার্ক টাইপের থ্রিলার, স্পাই থ্রিলার পছন্দ করেন তারা এই বইটি পড়ে দেখতে পারেন। থ্রিলার প্রেমীরাও এই বইটা পড়ে দেখতে পারেন। আর যারা অর্ধেক পড়ে রেখে দিছেন তাদেরকে বলবো ভাই/আপুরা আপনারা আরেকটু কষ্ট করেন।বইটা না রেখে দিয়ে সবটা পড়ে দেখুন। বইয়ের শেষ দিকে এসে হারিয়ে যাওয়া থ্রিলটা আবার ফিরে পাবেন বলেই আশা করি।


Md.Al-Imran Hemel
15/04/2020

বইটি খুব একটা আমার ভালো লাগেনি। ভাষা এবং ঘটনা আরও চমকপ্রদ হতে পারত। আমার আশা পুরন হয়নি আরও ভালো হবে আশা করেছিলাম


Sohag
05/04/2020

বই:দুধ চা খেয়ে তোকে গুলি করে দেব। দেড় মাসের ব্যবধানে ঢাকা শহরে চার চারটি খুন। প্রতিটি খুনের দৃশ্যপট একই রকম- ১/ একটি চায়ের দোকান ২/ দোকানের পাশের দেয়াল জুড়ে গ্র‍্যাফিতি, গ্র‍্যাফিতিতে দেখা যায়, একজন পিস্তলধারী কাওকে ধাওয়া করছে, যাকে ধাওয়া করছে তার গা রক্তাত, দেহ থেকে ছোপ ছোপ রক্ত বের হচ্ছে। গ্র‍্যাফিতির পাশে লিখা, "দুধ চা খেয়ে তোকে গুলি করে দেব" ৩/ লাশের পাশে একটি ট্রে রাখা, ট্রেতে আধখাওয়া এক কাপ লিকার চা, ছোট্ট একটি বাটিতে তিনটি বিস্কুট। ৪/চারবারই গুলি মৃতদেহের পাশে পাওয়া গেছে।সুন্দর করে প্যাকেটে মোড়ানো অবস্থায়। রহস্যময় খুনের সমাধানের দায়িত্ব পড়েছে পুলিশের সিনিয়র গোয়েন্দা রফিকুল ইসলামের উপর। মান্নান মিয়া, চা দোকানদার। যার এক কাপ চা খেয়ে কারো পেট ভরে না। দ্বিতীয় কাপের অর্ডার করতেই হয়। মান্নান মিয়া সম্পর্কে কেউই অত কিছু জানে না। কেবল জানে মান্নান মিয়া অসাধারণ এবং অদ্ভূত গল্প জানে। তারই একটি হল এক সন্তের কাহিনী, যিনি রহস্যময় এক গাছের পাতা চিবিয়ে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বেচে যান। এই সন্তই জানে অমরত্ব এর চাবি। মন্ত্র মুগ্ধ হয়ে শোনে কাস্টমাররা.. ডক্টর মেহবুব আরেফিন চৌধুরি, পড়াশোনা করেছেন ফিলোসফি নিয়ে। কিন্তু সবার ধারণা, চায়নায় গিয়ে ডক্টর মেহবুব একটি যুগান্তকারী কিছু আবিষ্কার করেছেন।ঘুরে বেড়িয়েছিলেন চায়নার একপ্রান্ত থেকে আরেকপ্রান্ত। কিন্তু কিসের খোঁজে? অমরত্ব এর খোঁজে। নাহলে দেশে এসে কেন তিনি প্রথমবারের মত নিজের বিষয়ের বাইরে আর্টিকেল লিখেন। যার বিষয়বস্তু চা- দা টি অব শ্যানং। যেখানে শ্যানং দেবতা চা গাছের পাতা খেয়ে অমরত্ব লাভ করেন। তাই সবার ধারণা, অমরত্ব এর মহৌষধ এখন ডক্টরের হাতে। মহৌষধ নিজেদের কব্জায় আনতে ডক্টরের পিছু নেয় সি আই এ, গুপ্তচোখ কাল্টের সদস্য, গোয়েন্দা সংস্থা ঘুঘু, রাশিয়াসহ, বড় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি গুলো। এদিকে মোড় নেয় দুধ চা খুনের কাহিনী। রফিকুল ইসলাম জানতে পারেন, ঠিক একই রকম গ্র‍্যাফিতি দুই বছর আগে চিটাগাং বিশ্ববিদ্যালয় এর কলা ভবনের চায়ের দোকানের দেয়ালে দেখা যায়। ( এটি একটি ফিকশন।) গ্র‍্যাফিতির স্রষ্টা কে জানে না। ওদিকে, ডক্টর আরেফিন কে খুন করা হয়। মাথা দুই ভাগ করে দেয় কসাই কাসেম তার নিজের কসাইয়ের দোকানের সামনেই.. তাহলে প্রশ্ন হল, দুধ চা কিলার কে?দুধ চা এর গ্র‍্যাফিতি চিটাগাং এ পাওয়া যায়, তার মানে কি ঘটনার শুরু কোথা হতে? ডক্টর আরেফিন কে খুন করালো কে? ডক্টর আরেফিন কি আসলেই অমরত্ব এর খোজ পেয়েছেন?বা পেলেও তার সন্ধান কি পাবে সি আই এ, রাশিয়া, গোয়েন্দা সংস্থা ঘুঘুরা? এছাড়া মান্নান মিয়ার অমরত্ব এর গল্প কিভাবে জানেন?


PAYMENT OPTIONS

Copyrights © 2018-2024 BoiBazar.com