ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ এই বইয়ের ছয়টি দেশের ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে রূপায়িত করেছেন লেখক। দেশগুলো হলো প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন, সুইজারল্যান্ড, হল্যাণ্ড, ভারতের কেরালা প্রদেশ এবং ফিলিপিন্সের রাজধানীর ম্যানিলা।
একটি দেশের নানা কিছু্ একজন লেখকের দৃষ্টিতে কেমন করে ফুটে ওঠে সে পাঠই ভ্রমণ -সাহিত্য পড়ার আনন্দ। ভ্রমণ সাহিত্য জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতার পরিপূরক।এ সাহিত্যে কল্পনার অবকাশ নেই -আছে মানুষ দেখা- জায়গা দেখা-জাদুঘর কিংবা বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিষ্কারের মুখোমুখি হওয়া, চাঁদ থেকে আনা পাথরের টুকরো ছুঁয়ে দেখা-হাজার বছর ধরে তৈরি হওয়া ক্রিস্টাল গুহা দেখা- আর সবচেয়ে বড় দূর দেশের ভিন্ন সংস্কৃতির , ভিন্ন ভৌগলিক পরিবেশের মানুষ দেখা। সেই সব মানুষের দৃষ্টি থেকে তার সংস্কৃতির ভেতরকার কিছু আবিষ্কার করা।
তাই ভ্রমণ -সাহিত্যের স্বাদ ভিন্ন। দূর দেশকে দেখতে না পাওয়ার তৃষ্ণা মেটাবে। অন্য দেশের প্রকৃতি, মানুষ ,জাদুঘর,বিভিন্ন স্থান জানার জন্য তার কৌতূহল বাড়িয়ে দেবে। ভ্রমণের জন্য উদগ্রীব হবেন পাঠক, একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
সূচিপত্র * একটি অসাধারণ লটারি জেতা (ম্যানিলা) * স্বপ্নের রঙধনু (সোভিয়েত ইউনিয়ন) * মনোরম কো (সুইজাল্যান্ড) * বন্ধুত্ব, জাদুঘর ও ফুলের দেশ (হল্যান্ড) * নমপেন ; অ্যাংকর (কম্বোডিয়া) * কবি তুনচানের জন্মভূমিতে (কেরালা)
সেলিনা হোসেন
সেলিনা হোসেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক, যিনি ১৪ জুন ১৯৪৭ তারিখে রাজশাহী শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা এ কে মোশাররফ হোসেন ছিলেন রেশমশিল্প কারখানার পরিচালক এবং মাতা মরিয়মন্নেসা বকুল। ষাটের দশকের মধ্যভাগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময়ে লেখালেখির শুরু করেন এবং তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ "উৎস" ১৯৬৯ সালে প্রকাশিত হয়। সেলিনা হোসেনের লেখালেখির কেন্দ্রে রয়েছে বাংলাদেশের মানুষ, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য, এবং তিনি বাংলার লোক-পুরাণের চরিত্রসমূহকে নতুনভাবে তুলে এনেছেন। তাঁর উপন্যাসে সমকালের সামাজিক ও রাজনৈতিক সংকট, ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ প্রতিফলিত হয়েছে। সাহিত্যে তাঁর পরিচিতি শুধু কথাসাহিত্যেই সীমাবদ্ধ নয়, প্রবন্ধেও তিনি শক্তিশালী ও শাণিত গদ্য নির্মাণে দক্ষ।