বাংলাদেশের মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে নিচ্ছে দেশকেও। তেতাল্লিশ বছরে অনেক দূর এগিয়েছে দেশ। কিন্তু তবুও নাগরিকদের মন থেকে শঙ্কা যায় না। দুঃখের বিষয় শঙ্কার কারণ তারাই তৈরি করছেন, শঙ্কা দূর করার দায়িত্ব যারা নিজেরাই কাঁধে তুলে নিয়েছেন। এখন অবস্থা এমন যে, নাগরিকদের কণ্ঠস্বরও শােনা যাচ্ছে না। আনিসুল হক নিজের মতাে করে নাগরিকদের আনন্দ-বেদনা-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে চলেছেন, নিয়মিতভাবে। প্রধানত তার অরণ্যে রােদন কলামে।
আনিসুল হকের বৈশিষ্ট্য তাঁর রসবােধ, তাঁর সরল সহজ ভাষাভঙ্গি এবং গভীর মমতা। এই কলামগুলােতেও পাঠক সেইসব গুণের পরিচয় পাবেন। বইটি পাঠকদের ভালাে লাগবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।
আনিসুল হক
আনিসুল হক ৪ মার্চ ১৯৬৫ সালে রংপুরের নীলফামারীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রংপুর পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়, রংপুর জিলা স্কুল, রংপুর কারমাইকেল কলেজ এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। ছাত্রাবস্থা থেকেই সাহিত্য ও সাংবাদিকতার প্রতি তাঁর আগ্রহ ছিল, এবং তিনি বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে প্রকৌশলী হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দিলেও ১৫ দিনের মধ্যে সাংবাদিকতায় ফিরে আসেন। বর্তমানে তিনি একটি প্রথম শ্রেণির জাতীয় দৈনিকে সহযোগী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত। সাহিত্যে তাঁর অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, সিটি আনন্দ-আলো পুরস্কার, খালেকদাদ চৌধুরী পদক, সুকান্ত পদক, এবং ইউরো সাহিত্য পুরস্কারসহ বিভিন্ন সম্মাননা লাভ করেছেন।