ভূমিকাঃ লেখালেখি আমার কাছে প্রেমে পড়বার চেয়েও অনেকবেশি উত্তেজক ও ব্যক্তিগত, দূরাভিলাষী ও উড্ডয়নশীল। তবুও বেশ কিছুদিন কবিতা ও দেশ থেকে দূরে বাস করছিলাম। অসুখে ছিলাম, ব্যাকুল হয়ে উঠেছিলাম কবিতা আর দেশের জন্যে, যদিও সারা দিনরাত কবিতা আমি কখনো লিখিনি, অন্য অনেক কিছু আমি লিখেছি। এখন প্রতিদিন একটু একটু করে লিখছি।
এলোচুল বইটির কবিতাগুলো আমার স্বাভাবিক রচনার চেয়ে অনেকবেশি ভিন্ন ও জটিল, অনেকটা প্রতীকবাদী কবিতার রীতিতে লেখা, অনেকবেশি পরোক্ষ। এ সময় প্রতীক ও চিত্রকল্প আমাকে অধিকার করে ছিলো, তাই প্রতীক-চিত্রকল্প পাওয়া যাবে স্তবকে স্তবকে। তখন বয়স অল্প, ছিলাম নানা আবেগ ও ঘোরের মধ্যে, যদিও আমি ঘোরের মধ্যে কবিতা লিখিনি। এই বইয়ের বেশিরভাগ কবিতাই ছাত্রাবস্থায় রচিত। আর সে কারনেই পরিপার্শ্বের বদলে কবিতাগুলোতে প্রধান হয়ে উঠেছে কল্পনা। কবিতাগুলো পাঠককে স্মৃতিতাড়িত করবে। অনেকেই নিজের বোধের সঙ্গে হয়তো-বা মেলাবেন এলোচুল- এর কবিতাগুলো।