ফারু মুহূর্তের মধ্যে কালাে ধোঁয়ার কুণ্ডলী হয়েছে আকাশ সমান। মানুষের চিৎকার-চেঁচামেচি, ছুটাছুটিতে অন্যপাড়া থেকে লােকজনের আসা শুরু হলাে। | গ্রামবাসী সাধ্যমতাে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও গাফফারের ঘরটি পুড়ে খাক হয়ে গেছে। পাশের ঘরগুলােতেও আগুন ছড়িয়েছিল, তবে পুরােপুরি পােড়েনি। মাথায় হাত দিয়ে গাফফার মাটিতে পা বিছিয়ে বসে আছে। গাফফারের স্ত্রী ফয়েজুন নেছা ফজুও কান্নাকাটি করে চলছে। | নতুন ঘরটি করেছিল বড় ছেলে আমিনুলের পাঠানাে টাকায়। আমিনুল কুয়েতে চাকরি করে। সেদিন ফোন করে বলেছিল— বাবা, আমি দু'মাস পর বাড়িতে আসব। পাঁচ বছর হলাে তােমাদের দেখি না। বুকে অনেক কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছি।