মানুষমাত্রই স্মৃতিকাতর। জীবনের ফেলে আসা দিনগুলোতে সে সদাই ফিরে যেতে চায়। কিন্তু সে এও নিশ্চিত করেই জানে, সে-জীবনে আর ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই সে স্মৃতি হাতড়ে বেড়ায়। স্মৃতি খুঁড়ে তুলে আনে নিজের সুখ-দুঃখের নানা অধ্যায়। তাতেই তার আনন্দ, তাতেই তার সুখ। স্মৃতিকথাকে ব্যক্তিগত বিষয় মনে করা হলেও এর মধ্যে সাধারণত লুকিয়ে থাকে বিধৃত সময়ের অনেক ইতিহাস, সংস্কৃতি, পরিবেশসহ নানা কিছু। একজন সাধারণ মানুষের স্মৃতিচারণ তার নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও একজন লেখক তা ছড়িয়ে দিতে পারেন সবার মাঝে। জাহানারা জামান তাঁর স্মৃতিকথাকে পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন উপন্যাসের বর্ণনায়। তাই ফেরারি বসন্তে বকুল পাঠকের কাছে হয়ে উঠবে আরও বেশি উপভোগ্য।
জাহানারা জামান
জাহানারা জামানের ছ’বছর বয়সে লেখালেখিতে হাতেখড়ি ছড়া-কবিতার মাধ্যমে। কৈশোরে তিনি ইত্তেফাক-এর কচি-কাঁচার আসরের সদস্য হিসেবে আসরের পাতায় নিয়মিত লেখা শুরু করেন। পরে কেন্দ্রীয় মেলার সদস্য নির্বাচিত হন এবং ইত্তেফাকসহ বিভিন্ন পত্রিকা ও সাময়িকীতে তাঁর লেখা প্রকাশিত হতে থাকে। ১৯৮৯ সালে মুক্তধারা থেকে মন হারানোর দেশে নামে তাঁর একটি ছড়ার বই প্রকাশিত হয়। তাঁর টুকু ও শালিক ছানা নামে ছোটদের গল্পের বইটি ২০১০ সালে প্রকাশিত হয় অ্যাডর্ন থেকে। জাহানারা জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এম এ করেন। কর্মজীবনে প্রথমে একটি বেসরকারি কলেজে অধ্যাপনা করেন। পরবর্তীতে দুটি বেসরকারি সংগঠনের কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি দুই পুত্রসন্তানের জননী।