দূর ভবিষ্যতের কাহিনী। ভেঙে পড়ছে গ্যালাক্সির লক্ষ লক্ষ বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত গ্যালাকটিক এম্পায়ার। শােনা যাচ্ছে বর্বরতার পদধ্বনি, পরিষ্কার ফুটে উঠেছে তুঙ্গস্পর্শী। মানবসভ্যতার অবক্ষয়ের অযুত চিহ্ন। সাইকোহিষ্ট্রি, অর্থাৎ মনস্তাত্ত্বিক ইতিহাসের সাহায্যে ভবিষ্যদ্বাণী করলেন। গণিতবিদ প্রফেসর হ্যারি সেলডন: শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে তিরিশ হাজার বছর স্থায়ী চরম অরাজকতা ও নৈরাজ্য। এই ঘাের অমানিশায় একমাত্র আলােকবর্তিকা তিনিই। তাই তিনিই বাতলে দিলেন উদ্ধারের পথ তৈরি করতে হবে। শিল্পকলা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর এক নতুন শক্তি ফাউণ্ডেশন। নতুন আরেক সাম্রাজ্যের কেন্দ্রবিন্দু। শুধু যে পথই দেখালেন তা নয়, অগুনতি সহকর্মী নিয়ে তারুণ্যের উদ্যম আর দুরন্ত সাহসিকতার সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়লেন মানবজাতিকে বাঁচাতে।
কিন্তু কিভাবে?
জি এইচ হাবিব
জি এইচ হাবীব (গােলাম হােসেন হাবীব) এর জন্ম ১৯৬৯ সালে, ঢাকায় । মিরপুরের শহীদ আবু তালেব বিদ্যানিকেতন ও মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পড়াশোনা শেষে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যয়ন করেন। বছর দুয়েক সাংবাদিকতা শেষে অধ্যাপনায় যুক্ত হন। কর্মস্থল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জি এইচ হাবীব অনেকগুলাে গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ বাংলায় অনুবাদ করেছেন | এর মাঝে উল্লেখযােগ্য হলাে ইয়েস্তাইন গাের্ডার-এর সােফির জগত (সংহতি প্রকাশন), আইজাক আসিমভ-এর ফাউন্ডেশন (সংহতি প্রকাশন), গ্যাব্রিয়েল।
আইজাক আসিমভ
কিংবদন্তির সায়েন্স-ফিকশন লেখক আইজ্যাক আসিমভ এর জন্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। পেশাগত জীবনে তিনি বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিষ্টের প্রফেসর ছিলেন। সায়েন্স-ফিকশন দুনিয়ার রবার্ট ই. হিনলিন, আর্থাও সি. ক্লার্ক তাকে বিগ থ্রি বলে অভিহিত করে থাকে।
প্রায় ৪০০ বইয়েওে স্রষ্টা তিনি। তার প্রবন্ধ সংগ্রহ, রহস্যগল্প এবং সায়েন্স-ফিকশন খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ কওে তার ফাউন্ডেশন সিরিজ’ তাকে খ্যাতির শীর্ষে স্থান দিয়েছে। তার গল্প নিয়ে হলিউডে নির্মিত হয়েছে অসংখ্য চলচ্চিত্র। এখনও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে, বিভিন্ন ভাষায় তার লেখা অনুদিত হয়ে আসছে, নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্র।
সারার পৃথিবীর বিজ্ঞান-কল্পকাহিনীর লেখকদেও আদর্শ তিনি।