গাড়ীর নাম বাসনাপুর

সাহিত্যের মৌলিক অথবা অনুবাদ কোন অঙ্গনেই আমার বিচরণ ছিল না এবং নেই। তবু আমি ৭২ সনের কোন এক সময় A Streetcar named Desire বইটির অনুবাদে প্রয়াসী হই কেবলমাত্র একটি অসম্পূর্ণ জীবনের অনেক অপূর্ণ বাসনার মধ্যে একটি পূর্ণ করার মানসে হয়তাে দুঃসাহসী হয়েছি, কারণ মুনীর চৌধুরীর সাবলীল স্বচ্ছন্দ অনুবাদের পাশে নিজেকে দাঁড় করিয়েছি। তবে পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সাহিত্য সমঝদারদের কাছ থেকে আমি হয়তাে বা কিছুটা স্নেহমিশ্রিত প্রশ্রয়ের প্রত্যাশী।

১৯৭১-এ যখন চতুর্দিকে মৃত্যুর বিভীষিকা তখন একটি জীবন নিজেকে ব্যাপৃত cscfect cat potituces Othello, Romeo and Juliet, Much ado about nothing (অকারণ ডামাডােল), বার্ণার্ড শ'র Man and Superman (মানব বনাম অতিমানব) এবং টেনেসি উইলিয়ামস্-এর A Streetcar named Desire অনুবাদে। সে জীবন অকালে নির্বাপিত তাই সব ক’টি অনুবাদই অসম্পূর্ণ।

গাড়ীর নাম বাসনাপুর নামকরণসহ প্রচ্ছদের পরিকল্পনা ও কারুকাজ মুনীর চৌধুরীর পাণ্ডুলিপি থেকে নেয়া, যে পাণ্ডুলিপি দেখে চমকে উঠতে হয় এবং ভাবতে হয় কেন দ্বিতীয় দৃশ্যের ৪৩ পৃষ্ঠা থেকে মুনীর চৌধুরী আর অনুবাদ করছেন না কেন তার হস্তাক্ষর পাল্টে গিয়ে লিলি চৌধুরীর হয়ে গেল!

কৃতজ্ঞতা স্বীকার: কবি হাবিবুর রহমান আমাকে উৎসাহিত করেছিলেন এবং তারই আগ্রহে USIS অনুবাদটি গ্রহণ করেছিল ছাপবে বলে। কিন্তু কি যে সব হােললা, USIS এর অনুবাদ বিভাগ বন্ধ হয়ে গেল, স্থান পরিবর্তনের সময় পাণ্ডুলিপি হারিয়ে গেল, পরে হাবিবুর রহমান পাণ্ডুলিপিটি উদ্ধার করে আমাকে ফিরিয়ে দিলেন, তারপর হঠাৎ করে তিনিই হারিয়ে গেলেন। তাই বইটি আজ মুদ্রিত আকারে তাকে আর দেখানাে গেলাে না। দুঃখ রইলাে। তার কাছে এবং USIS কর্তৃপক্ষের কাছে আমি বিশেষভাবে ঋণী। ধন্যবাদ জানাই মনিরুজ্জামানকে, গানগুলাের অনুবাদে সাহায্য করেছেন বলে আর জানাই নাসির চৌধুরীকে অনুলিপি প্রস্তুত করে দিয়েছেন বলে।