ঘুরে দাঁড়ানো (হার্ডকভার)

চোখের জল কেউ মুছে দেয় না, নিজেকেই মুছতে হয়। জীবনে তোমার  সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু তুমি নিজেই। যখন কোনো আশা থাকেনা আশা তৈরি করে নিতে হয়। লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে চলে যাবার পর আবার মাথা উঁচু করে ফিরে আসার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হয়। কারণ জীবনটা ১০০ মিটার রেস নয়, এটা একটা ম্যারাথন। বুকে দম থাকলে হারতে চাইলেও হারা যায় না।

 ঘুরে দাঁড়ানো বইটি মূলত তাদের জন্য যারা জীবনের একপর্যায়ে এসে মনে করছেন আমার দ্বারা আর কিছু হবেনা। এছাড়া আমি এই বইয়ে "সাকিব আল হাসানকে" নিয়ে লিখেছি যিনি বাংলাদেশের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার জীবনের হোঁচট খাওয়া এবং ঘুরে দাঁড়ানো।

সফল মানুষের সফলতার পেছনের গল্প তুলে ধরেছি।

একজন ভালো এমপ্লয়ি হতে হলে কিভাবে একই কাজ ভিন্নভাবে করা যায় এবং বসের সাথে আর অফিসের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে কিভাবে নিজের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া যায় তা তুলে ধরেছি।

সবশেষে বাবা মারা কেন সন্তানদের জীবনে  অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ সে বিষয়গুলো নিয়ে লিখেছি। কারণ বাবা-মাকে ঠিক কিভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায় তা আমার জানা নেই। শুধু একটু বলতে পারি তাঁরা হলেন সৃষ্টিকর্তার এক বিষ্ময়কর সৃষ্টি। বাবা-মায়ের সাথে কাউকে তুলনা করা সম্ভব নয়। পৃথিবীতে সবথেকে বড় শক্তির জায়গা হলো বাবা-মায়ের দোয়া। মায়েরা কপালের টিপটার আঠা নষ্ট হলেও সেটা যত্ন করে রেখে দেন, মায়েদের শাড়ি কখনো পুরোনো হয়না, একজোড়া কানের দুলের একটা হারিয়ে গেলে কাউকে কিছু না বলে নীরবে খুঁজতে থাকে আর অন্যটা যত্ন করে রেখে দেয়, ভাঙা চুড়িটাও তাঁদের কাছে ভালো লাগে, ভাঙা মোবাইলটা আর কাজে লাগবেনা জেনেও যত্ন করে তুলে রাখে কারণ এটা তাঁর ছেলে বা মেয়ে কিনে দিয়েছিলো.....

ছোট ছোট গল্পের মাধ্যমে আমি মূলত এই বিষয়গুলো তুলে নিয়ে এসেছি।

এটুকু আমি জোর দিয়ে বলতে পারি যে, আমার বইটি পড়তে শুরু করলে আপনি ক্লান্তি বোধ করবেন না। আর পড়া শেষে নিজের মধ্যে নতুন একজন মানুষকে অনুভব করতে পারবেন। আর মনে হবে ঘুরে দাঁড়ানো খুব কঠিন কিছু না।