ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ বড়ভাই হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে ছোট ভাই আহসান হাবীবের স্মৃতিচারণ। হুমায়ূন আহমেদের ভাষায় ‘স্মৃতি সে সুখেরই হোক বা বেদনারই হোক তা সবসময় বেদনার...।’ এই স্মৃতি চারণমূলক খণ্ড খণ্ড রচনায় সেটাই ফুটে উঠেছে যেন। একই সঙ্গে আহসান হাবীব তা দাদাভাইয়ের নিজস্ব হিউমারও কিছু তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। যা সবাইকে আনন্দ দিবে বলেই আমাদের ধারণা। আর আমারতো জানিই কিংবদন্তি লেখক হুমায়ূন আহমেদ একজন অসম্ভব আনন্দ প্রিয় মানুষ ছিলেন।
ভূমিকা বড় ভাই হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে বই লিখতে হবে আমি কখনো ভাবি নি। তার চলে যাওয়ার আগে এবং পরে..... তাকে নিয়ে কিছু লেখা নিয়ে এই বই স্মৃতি চারণের মতই একটা ব্যাপা্র। তার একটা লেখায় ছিল ‘স্মৃতি সে সুখেরই হোক বা বেদনাই হোক তা সবসময়ই বেদনার।’ ঐ লেখাগুলোতে হয়ত সেই রকম একটা বিষয় থেকেই গেল...। সে আনন্দপ্রিয় মানুষ ছিল তাই এই বইয়ের শেষে দিকে তাকে নিয়ে কিছু আনন্দঘন ঘটনা জুড়ে দিলাম ,পাঠকের হয়ত ভাল লাগবে।
আহসান হাবীব (কার্টুনিস্ট)
আহসান হাবীবের জন্ম ১৫ নভেম্বর ১৯৫৭, সিলেট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগােলে মাস্টার্স করে জীবনের প্রথম চাকরি ব্যাংকে। তারপর হঠাৎ পেশা বদল। পেশা হিসেবে বেছে নিলেন কার্টুন। দেশের একমাত্র স্যাটায়ার ম্যাগাজিন ‘উন্মাদ’-এর সম্পাদক ও প্রকাশক... ত্রিশ বছর ধরে। ম্যাগাজিন নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে যেন তার ভালাে লাগে। অনেক পত্রিকার সম্পাদনা করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযােগ্য দুটি পত্রিকা হল- কিশাের পত্রিকা ‘দুরন্ত’ ও সায়েন্স ফিকশন ম্যাগাজিন ‘ট্রাভেল এন্ড ফ্যাশন। কার্টুন আঁকার পাশাপাশি জোকস তাঁর প্রিয় বিষয়। বিষয়টিকে তিনি প্রায় কুটিরশিল্প পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। বিখ্যাত সেই স্প্যানিস দার্শনিকের মতাে তিনিও মনে করেন যে দিনটা হাসা গেল না সেই দিনটা নিদারুণ ভাবেই ব্যর্থ!'
জোকস ছাড়া রম্য রচনায়ও তিনি পারদর্শী। এই লেখকের বর্তমান বয়স ৫৫। শিক্ষিকা স্ত্রী আফরােজা আমিন আর একমাত্র মেয়ে শবনম আহসানকে নিয়ে তার নিজস্ব জগৎ