গল্প বলার ও শোনার আকাঙ্ক্ষা প্রত্যেক মানুষের মধ্যে প্রাচীনকাল থেকে উপস্থিত থাকলেও সাহিত্যের রূপ হিসাবে ঊনবিংশ শতাব্দীতে ছোটগল্পের সৃষ্টি। অর্থাৎ ছোটগল্প সাহিত্যের শেষের দিকে অবস্থিত। নাটক, কবিতা, উপন্যাস, এমন কী প্রবন্ধেরও পরে ছোটগল্পের উদ্ভব। সেদিক থেকে ছোটগল্প বলতে গেলে বেশ তরুণ। এমনই এক তরুণ লেখক অতনু দাশ গুপ্ত জীবনের অসাধারণ কিছু আখ্যান তুলে ধরেছেন তার ছোটগল্পে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেমন বলেছেন,
ছোট প্রাণ ছোট ব্যথা, ছোট ছোট দুঃখকথা
নিতান্তই সহজ সরল;
সহস্র বিস্মৃতিরাশি, প্রত্যহ যেতেছে ভাসি
তারি দু-চারিটি অশ্রুজল।
নাহি বর্ননার ছটা, ঘটনার ঘনঘটা,
নাহি তত্ত্ব নাহি উপদেশ।
অন্তরে অতৃপ্তি রবে, সাঙ্গ করি মনে হবে
শেষ হয়ে হইল না শেষ।
ঠিক এমনই কিছু গল্পের সমাবেশে জড়িয়ে আছে গল্পেসল্পে কিছুক্ষণ। পাঠক সমাজকে অভিনবত্বের স্বাদ দিতে লেখক তাঁর ছোট গল্পকে সাজিয়েছেন নব আঙ্গিকে। নতুন বছরের নয়া কালের ছোঁয়া লাগুক পাঠক মনে।