ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ বড় বোন আলিশাকে মুঠোফোনে মিম বলল, কনে দেখার সময় আমি পাশে থাকলে তোমাকে নাকি আরও বেশি কালো মনে হয়। আরও বেশি অনুজ্জ্বল মনে হয়। এজন্য ফিরে যায় পাত্রপক্ষ। মা-ই ফোন করে জানিয়েছেন, আমি যেন আজ দেরিতে ফিরি বাসায়।... পাত্র রনিকে আলিশা বলল, কখনো ঘটা করে মেয়ে দেখতে যাবেন না পাত্রীপক্ষের বাড়িতে। অনানুষ্ঠানিকভাবে মেয়ে দেখার কাজটা সেরে নেবেন ভবিষ্যতে। মনে থাকবে তো?... মিমের চোখের দিকে এক নজর তাকিয়ে স্তব্ধ হয়ে গেলেন নওরিন চৌধুরী। মন খারাপ করে টেবিলে বসে আছে মিম। সাধারণত মন খারাপ করে না সে। তবে কথায় কথায় রাগ করে, হইচই বাধিয়ে দেয় সামান্য কারণে। এমন মেয়ের মন খারাপ কেন?... ইতিবাচক ভাবনা আসছে মনে-ভালোই করেছে জিহান। েই মুহূর্তে উত্তম কাজ ছিল মায়ের সঙ্গে যাওয়া। মায়ের সঙ্গে না গেলে ছেলে সম্পর্কে মায়ের মনে নেগেটিভ ধারণা গেড়ে বসুক, চায় না মিম। প্রাণের মধ্যে আছে প্রাণ। সেই প্রাণের মূল শক্তি হচ্ছে জিহান। এই শক্তির ক্ষয় নেই। লয় নেই।... দুঃসাহসী ও আত্মপ্রত্যয়ী মিম ধমক দিয়ে বাবাকে বলল, বিপদের সময় তোমাকে নার্ভাস হলে চলবে না। তোমার মেয়ে কোনো অণ্যায় করেনি, অনৈতিক কিছু ঘটায়নি। বরং অবিচার ও অণ্যায়ের শিকার হয়েছে। বুঝেছ> বাবার আসনে শক্ত থেকে মোকাবিলা করতে হবে পরিস্থিতি... নিজের ‘রিয়েল সেলফ’ ফাঁস হওয়ার কারণে আদরের বোন মিমের সঙ্গেও বেধে গেছে আলিশার সংঘাত। মনের সঙ্গে মনের সংঘাত গুচ্ছ বোমার চেয়েও বেশি শক্তিশালী; সংঘাতের কারণে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় মমতা। রক্তক্ষরণ দেখা যায় না বাইরে। ভেতরটা চুরমার হয়ে যায়, রক্তাক্ত হয়। রক্তাক্ত হয়ে গেছে মিমও ক্রাইসিসের সময় নির্ভরতার স্থান হারালে বড় বিপর্যয় আসতে পারে ভেবে দিশেহারা হয় আলিশা... পরীক্ষা এগিয়ে আসছে। মিম বোঝে, সব সংকট দূরে সরিয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতিতে মনোযোগ দিতে হবে। ভালো রেজাল্ট করতে হবে। ঘরে জাগাতে হবে আনন্দ-আলো। মায়ের মন ভালো রাখার আর কোনো ওষুধ নেই নিজের হাতে। ঘরের সুখের দিকে নজর দিলে সুখ আসবে নিজের মনঘরেও। এই সত্য ও সুন্দরের বিকল্প কোনোপথ খোলা নেই সামনে
প্রফেশনাল ফিল্ড : বিশেষজ্ঞ মনােরােগ চিকিৎসক-মনঃশিক্ষাবিদ মনােরােগ ও মাদকাসক্তি চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ । সাইকিয়াট্রিস্ট ও সাইকোথেরাপিস্ট।
লেখালেখির বিষয় : গল্প, উপন্যাস, কলাম, কিশাের উপন্যাস, শিশুতােষ, বিজ্ঞান ও গবেষণা।
লেখক নাম : মােহিত কামাল।
সংগঠক : ভাইস প্রেসিডেন্ট, সাউথ এশিয়ান ফোরাম ফর মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড সাইকিয়াট্রি (এসএএফ-বিসি)। জীবনসদস্য, বাংলা একাডেমী। প্রথম আলাের মাদকবিরােধী আন্দোলনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। প্রবাল কচি-কাঁচার মেলার সাবেক পরিচালক। বিএমএইচএর (ইউকে) সাবেক মহাসচিব। এক্কা’র (এসএমসি)। সাবেক মহাসচিব ও প্রেসিডেন্ট।
পুরস্কার/পদক : ময়মনসিংহ সংস্কৃতি পুরস্কার ১৪১৬-কথাশিল্পী। (চেনা বন্ধু অচেনা পথ '১০ বিদ্যাপ্রকাশ) সেরা ঔপন্যাসিক। বেগম রােকেয়া সম্মাননা পদক-শ্রেষ্ঠ। সাহিত্যিক ২০০৮ (সুখপাখি আগুনডানা, উড়ালমন), সাপ্তাহিক দি নর্থ বেঙ্গল এক্সপ্রেস-এর উদ্যোগে। স্বাধীনতা সংসদ নববর্ষ। পুরস্কার ১৪১৫-কথাসাহিত্য (সুখপাখি আগুনডানা, উড়ালমন)।
প্রফেশনাল ফিল্ডে বিশেষ কৃতিত্ব : ওয়ার্ল্ড সাইকিয়াট্রিক অ্যাসােসিয়েশন কর্তৃক আয়ােজিত জাপানে ১২তম ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অব সাইকিয়াট্রির ফেলােশিপ প্রােগ্রামে বিশ্বের প্রথম। সেরা ফেলাে হিসেবে কৃতিত্ব অর্জন।