স্কুলের পেছনে ঘন বেতঝােপ। বেতগাছে অনেক কাটা থাকে। তাই কাটাঅলা বেতঝােপের আশপাশে সহজে কেউ যেতে চায় না। নীরব-নিস্তব্ধ পরিবেশ। স্কুলের মাঠেও আজকাল কেউ সাহস করে যেতে চায় না। যাবে কেমন করে? স্কুলে যে পাকিস্তানি মিলিটারিরা ক্যাম্প বসিয়েছে। তাই স্কুলের মাঠে না-গিয়ে এই বেতঝােপের ভেতর বসেই তারা গল্পগুজব করে । নিজেদের স্কুল । অথচ মিলিটারিদের জন্য স্কুলে যাওয়া যাচ্ছে না। স্কুলের ফটকে অস্ত্র হাতে সব সময় দুজন প্রহরী দাঁড়িয়ে থাকে। বাইরে থেকে কেউ স্কুল মুখাে হলেই আর রক্ষা নেই।
জসীম আল ফাহিম
জন্ম ১৯৭৯ সালের ৩১ আগস্ট। পৈত্রিক নিবাস সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর গ্রামে। পিতা মোহাম্মদ আবদুল হাবিজ। মাতা ফাতেমা বেগম। লেখালেখি করেন ছোটবেলা থেকেই। গল্প লিখেন। উপন্যাস লিখেন। ছড়া-কবিতা লিখেন। বর্তমানে তিনি লিডিং ইউনিভার্সিটি সিলেটে কর্মরত। লেখালেখির স্বীকিৃতিস্বরূপ জসীম আল ফাহিম ইউনিসেফ কর্তৃক ‘মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০০৭’ এবং কেন্দ্রিয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ, সিলেট কর্তৃক ‘কেমুসাস তরুণ সাহিত্য পদক ২০০৯’ অর্জন করেন। শিশুকিশোরদের জন্য তার প্রকাশিত বই গল্পগ্রন্থ: ফুলখুকি, ঘাসফড়িঙের জন্মদিন, দুষ্টুমামা মিষ্টিমামা, পরীকুমার, জলপরী, কাঠবিড়ালী পিংকি, ছয় ডিটেকটিভ, কল্পমেঘের গল্প, ফুল পাখি আর প্রজাপতি, ঝিনুক কুমার, শিল্পী পাখি, পিউ আর পরীরানী এবং আবীরের গল্প। উপন্যাস: ভূচং ও চূচং, আনুপাগলীর মুক্তিযুদ্ধ এবং তৃণলতা।