ভূমিকা অনেক দিন আগে থেকেই কবি তারেক মাহমুদ (বন্ধু,জীবন সঙ্গী) আমাকে তাড়া দিচ্ছে কিছু লেখার জন্য। হয় গল্প, নয় উপন্যাস, নয় বায়োগ্রাফি ভ্রমণ কাহিনী। আমারতো মাথায় হাত। কবিতা টবিতা হয়তো দু’চারটা লিখতে পারি। কিন্তু গল্প উপন্যাস? ওটাতো আমার পক্ষে সম্ভব হবে না । আর বায়োগ্রাফি! কে যায় নিজের প্যাঁচাল অন্যকে শুনাতে? যদিও নিজের বিষয়ই চলে এসেছে বার বার। যাই হোক আমি নানান বিষয়ে তাড়িত হতে হতে ভ্রমণটাকেই বেছে নিলাম। যদিও ভ্রমণটা হচ্ছে কোথাও গিয়ে অল্প কিছুদিন ঘুরে বেড়িয়ে আসা। সেটা হয়েছে আমার সিঙ্গাপুর, নেপাল আর দার্জিলিং-এর এবং এ দেশ গুলো প্রসঙ্গে সংক্ষিপ্ত পরিসরে লিখেছিও। যা ছাপা হয়েছিল সা্প্তাহিক নিপুন পত্রিকায়। সেগুলোর সাথে আমার এবং জীবনের বিভিন্ন প্রদেশের পরিদর্শনীয় স্থানগুলোর ভ্রমণের বর্ণনা মিলিয়ে প্রকাশিত হলো ‘হাইওয়ে ডটকম’ যার অনুপ্রেরণায় (তারেক মাহমুদ) আমার কলম থেকে লেখাগুলো বের হলো আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ। আমাকে অনুপ্রাণিত করবার জন্য । জানি না পাঠকদের কেমন লাগবে লেখাগুলো। তবে খুব সহজাতভাবে আমি লিখে গেছি। আমার একান্ত লেখালেখি , পেইন্টিং, গান, কবিতার পরও যখন কিছু নিভৃত সময় পাই নিজের ডাইরিগুলোতে সংগৃহীত নানা বিষয়, নানান বড় বড় ব্যাক্তিত্বের কোটেশান সব ঘাটি, নিজের সৃষ্টিগুলোকে নিয়ে নাড়াচাড়া করি, পড়ি,গাই, শুনি আর মনে মনে বলি- আমার এই পথ চলাতেই আনন্দ (রবীন্দ্রনাথ) অথবা নজরুলের ‘পথে চলিতে যদি; চকিতে কভু দেখা হয় পরাণ প্রিয়’ , এই তো মন, এই তো গান, এই তো জীবন, জীবনের সংজ্ঞা আমার কাছে।
নিজের সৃষ্টি অন্যের কাছে কতটুকু গ্রহনীয় হবে, আলোড়িত হবে সে রহস্য থেকেই যায়। তবে মানুষ কেবল তার চারপাশ নিয়েইতো বাঁচে না। বেঁচে থাকার জন্য তার নিজের ব্যক্তিগত একটা জীবন থাকতে হয়। সেটা মানুষের ধরণ বুঝে ভিন্নতর হবে। এটাই স্বাভাবিক। যখন আমি ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখি, সেটা তখন আমার নিজের আর সেই স্বপ্নের কথাটি যখন অন্যকে বলি তখন তা হয়ে যায় আরও কারো। অর্থ্যাৎ আমার চিন্তাটাকে তখন ছড়িয়ে দিলাম অন্য কারো মাঝে। তেমনি আমি যা করি অর্থ্যাৎ সেটা আমার জন্য। আমার কবিতা, গান, চিত্রকলা স্বপ্ন এসব আমার জীবনের অক্সিজেন। আর সেই চিন্তার একটা রূপ পেলো লেখাতে আর লেখাগুলো যখন গ্রন্থে রূপ পেলো তখন তা কেবল আমার থাকলো না, হয়ে গেল পা্ঠকের । শুভেচ্ছা পাঠকদের শুভকামনায় সাবিরা সুলতানা