কি রয়েছে রইটির সূচীপত্রে?
১. মানসিক ভারসাম্যহীনতা দূূরীকরণ
২. কীভাবে আপনার অবেচতন মন রোগ নিরাময় করে?
৩. আধ্যাত্মিক ট্রিটমেন্ট এবং উন্মত্ততার চিকিৎসা
৪. মানসিক হতাশা দূরীকরণে আপনার অবচেতন মনের সক্ষমতার অস্তিত্ব।
৫. হিলিং এর সাহায্যে দুরারোগ্য রোগও নিরাময় করা যায়
৬. কৃতজ্ঞতা প্রকাশমূলক অভ্যাসের মধ্যে মানসিক হতাশা দূর করার ক্ষমতা
৭. চোখের দৃষ্টিশক্তি পুনরুদ্ধার
৮. শ্রবণশক্তি পুনরুদ্ধার
৯. প্রার্থনা সমস্ত কাজের চাপ দূরীভূত করে দেয়
১০. ঈশ্বরের শক্তি নিয়ে চলুন
১১. অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলুন
১২. মানসিক হতাশা দূর করার জন্য প্রার্থনা অনুশীলন
বইটি পড়ে কী জানতে পারবেন?
পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে, আমার শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অনুরোধের প্রেক্ষিতে এই বইটি লিখিত হয়েছে। আমি আমেরিকার লস এঞ্জেলস শহরের উইলসায়ার ইবেইল থিয়েটারে, যীশু খ্রিষ্টের বর্ণনামতে মহান সৃষ্টিকর্তা বিভিন্ন দুরারোগ্য রোগ নিরাময়ে আমাদের অবচেতন মনের যে সমস্ত ক্ষমতা দিয়েছেন, সে বিষয়ের ওপর দীর্ঘ সময়ব্যাপী একটি লেকচার দিয়েছিলাম। যীশুখ্রিষ্টের কথাগুলো সমস্ত মানবজাতির জন্য কী অর্থ প্রকাশ করে, তা বর্ণনা করেছিলাম। বর্তমান বইটিতে মূলত নিউ টেস্টামেন্টের মধ্যে বর্ণিত–‘মানসিক হতাশা দূর করার ক্ষেত্রে অবচেতন মনের শক্তি’–শব্দাবলির অন্তর্নিহিত অর্থ এবং বৈজ্ঞানিক তাৎপর্য বাস্তবিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে বর্ণনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই বইটির লক্ষ্য হচ্ছে পাঠকদের সম্মুখে তুলে ধরা যে–যীশুখ্রিষ্ট প্রায় ২ হাজার বছর আগে মানসিক হতাশা দূরকরণে অবচেতন মনের ক্ষমতা ব্যবহারসংক্রান্ত যেই নীতিমালাগুলো প্রয়োগ করেছিলেন, সেগুলো বর্তমান পাঠকেরা প্রয়োগ করতে পারেন; তা প্রমাণ করার চেষ্টা করেছি।
বাইবেলের মধ্যে শারীরিক, মানসিক অসুস্থতার যে ভার্সনগুলো/গল্পগুলো রেকর্ডভুক্ত করা হয়েছে, সেগুলো সুদূর অতীতকাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত, বর্তমান মানবজাতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়েছে। আপনি দেশের মধ্যে যেকোনো হাসপাতালে বাইবেলে বর্ণিত বিভিন্ন রোগের অবস্থান, শর্তাবলি/লক্ষণগুলো রোগীদের মধ্যে খেয়াল করতে পারেন। অবশ্যই, এটি সত্য যে, বর্তমান সময়ে যেই বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন রোগগুলো আবিস্কার হচ্ছে, সেগুলোকে মেডিকেল সায়েন্সের বিভিন্ন শব্দের মাধ্যমে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
বর্তমান সময়ে, সারা পৃথিবীব্যাপী নারী ও পুরুষেরা বিভিন্ন শারীরিক এবং মানসিক রোগ নিরাময় করার জন্য মেডিকেল রুলগুলো প্রয়োগ করতে গিয়ে, আতঙ্কজনক এবং মারাত্মক থেরাপির সম্মুখীন হচ্ছেন।
মেডিসিন, মনোবিজ্ঞান, শারীরিক চিকিৎসাবিজ্ঞান জগতে এবং সম্পৃক্ত অন্যান্য চিকিৎসা জগতের মধ্যে অসংখ্য বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণ হিসেবে, মানসিক ও আবেগিক সাংঘর্ষিক বিষয়গুলোর ওপর অনেক গবেষণা করা হয়েছে এবং অসংখ্য আর্টিকেল লেখা হয়েছে। এগুলো মূলত আমাদের পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের প্রভাব, যেকোনো বিষয় গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করার আমাদের মানসিক অনুভূতির পরিসীমা। এ সমস্ত রোগের পিছনে স্বর্গীয় বুদ্ধিমত্তার পঞ্চ ইন্দ্রিয় প্রভাব রাখে; যা আমাদের অবচেতন মনের মানসিক অবসাদ দূরীকরণে অসীম ক্ষমতা প্রয়োগের সাথে সম্পৃক্ত।
ডঃ জোসেফ মারফি
ড. জোসেফ মারফি একজন আইরিশ লেখক (জন্ম ১৮৯৮, ২০ মে-মৃত্যু ১৯৮১, ১৬ ডিসেম্বর)। তার বাবা ছিলেন স্কুল শিক্ষক। তিনি প্রিস্টহুড নিয়ে পড়াশােনা করে জেসুইদের সঙ্গে যােগ দেন। কুড়ি বছর বয়সে তিনি আমেরিকা চলে আসেন এবং নিউইয়র্কে ফার্মাসিস্ট হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। ১৯৪০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় মারফি লস এঞ্জেলেসে গিয়ে রিলিজিয়াস সায়েন্স-এর প্রতিষ্ঠাতা আর্নেস্ট হােমসের সঙ্গে পরিচিত হন এবং পরে এ বিষয়ে শিক্ষা দিতে শুরু করেন। ১৯৪৯ সালে তাঁকে লস এঞ্জেলেসে ডিভাইন চার্চের যাজক পদে অধিষ্ঠিত করা হয়। সেখানে তিনি দেশের অন্যতম বৃহৎ নিউ থট’ সমাবেশ গড়ে তােলেন। পরবর্তী দশকে মারফি বিয়ে করেন এবং সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মানােবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন এবং লেখালেখি শুরু করেন। আত্মউন্নয়নমূলক প্রচর বেস্ট সেলার বই তিনি রচনা করেছেন যা বিশ্বজুড়ে কোটি মানুষের উপকার করেছে । ড. জোসেফ মারফির কয়েকটি উলেখযােগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে : The Miracles of Your Mind, Peace Within Yourself, How to use Your Healing Power, Living Without Strain, Your Infinite Power to be Rich, The Cosmic Power Within You, Hot to use the Laws of Mind, These Truths Can Change Your Life ইত্যাদি