মায়ার মতো নিষ্পাপ ও কোমলমতি এক মেয়ের রূপের আগুনে হরহামেশাই দগ্ধ হয় হৃদয়। মায়ার শরীর থেকে ভালোবাসার আদিম গন্ধ এসে লাগছিল হৃদয়ের নাকে। সে গন্ধ ক্রমশই তাকে পাগলপ্রায় করে তোলে। মায়াকে আরেকটুখানি কাছাকাছি পাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে ওঠে হৃদয়ের তনুমন। পরক্ষণেই মায়ার কোমল ঠোঁট দুটি হৃদয়ের কপাল স্পর্শ করল।
সে স্পর্শানুভূতি একটা সময় গিয়ে মিশে দুজনের ঠোঁটের আঙিনায়। হঠাৎ করে মায়ার চোখ বেয়ে পড়া গরম জলের স্পর্শ নির্বাক করে দেয় হৃদয়কে। মায়াকে বুকের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে নিতে সে ভাবতে লাগল, মায়ার চোখ বেয়ে পড়া এই জলগুলো আসলে কীসের? বেদনার? আনন্দের? নাকি প্রাপ্তির? পৃথিবীর সবচেয়ে অসহায় নারীর মতো অশ্রুসিক্ত নয়নে হৃদয়ের চলে যাওয়া অবলোকন করতে থাকে ঝুমকি ভাবতে থাকে, জীবনটা এমন কেন? যে যাকে ভালোবাসে কেন সে তাকে পায় না? যে হৃদয়ে থাকে, সে কেন ভাগ্যে থাকে না? মানুষ খুব সম্ভবত শুধু ভালোবাসার জন্যই বাঁচে। মরেও।