ফ্লাপে লিখা কথা জাদু টোনার ধেম কামরূপ কামাখ্যা গেলে ফিরে আসা যায় না, নির্ঘাত মৃত্যু নয়তো পশু হয়েই নাকি থাকতে হয়। বহুবার একথা লোকমুখে শুনেছেন লেখক লিয়াকত হোসেন খোকন। তবুও বুকে প্রচন্ড সাহস নিয়ে তিনি কামরূপ কামাখ্যায় গিয়ে ভূত-পেত্নির মুখোমুখি হয়েছেন। পরীদের দেখা না পেলেও জিনের সঙ্গে পরিচয় ও তাদরে পাশে রাত কাটিয়েছেন। নাগা সন্ন্যাসী গোখরো সাপ দেখিয়ে চোখ রাঙিয়ে বলেছে ‘চলে আয় চলে আয়..রাতে শ্মশান ঘাটে দেখা কর..’। কলকিতে টান দিতেই জ্ঞান হারান লেখক। দুদিন আগে মারা যাওয়া এক ব্যক্তিকে সন্ধের পরে শ্মশানঘাটে বসে থাকতে দেখেছেন তিনি। মৃত ব্যক্তি বলেছে- ‘এদিকে আয় . ‘। নির্জন পথে পরিচয় হয় একজনার সঙ্গে, তারপর বন্ধুত্ব। পরক্ষণেই বলল, ‘পায়ের দিকে তাকান, দেখুন তো মানুষ কিনা!’ কামাখ্যায় কারা যেন ভয়-ভীতি দেখায়। ওদের এই দেখা যায়, আবার দেখা নেই। এরকম বেশকিছু রহস্যময় ঘটনা লেখকের জীবনে বাস্তবে দেখা গেছে। এরকমই রহস্যময় কিছু ঘটনার কাহিনী এই পুস্তিকায় তুলে ধরেছেন তিনি।