ব্রিটিশ, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ এই তিন সময়ের সাথে পরিচিত অর্থাৎ ত্রিকালদর্শী ফেরদৌস বেগম। অসম্ভব মেধার পাশাপাশি আরও অনেক গুণের অধিকারী হয়ে জন্ম নেওয়া ফেরদৌস বেগম ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে নিজ সন্তানদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। জীবনসংগ্রামের পাশাপাশি শিশুবয়স থেকে একের পর এক আপনজনের মৃত্যু তাকে এক লৌহকঠিন মানুষে পরিণত করে। ফেরদৌস বেগমের শৈশবকাল, যৌবনকাল এবং বার্ধক্যের যাপিত জীবনের সুখ-দুখ, আশা-আকাক্সক্ষা, টানাপোড়েন এবং সেইসঙ্গে তাকে ঘিরে থাকা মানুষজনকে নিয়ে গড়ে উঠেছে জলতরঙ্গ বইটির পটভ‚মি। স্মৃতিকথার বইটিতে ফেরদৌস বেগমের জীবনের চড়াই-উতরাই ছাড়াও তার আশপাশের মানুষের নানান কাহিনি হাস্য-কৌতুক, রং-রসে পরিপূর্ণ হয়ে বর্ণিত হয়েছে। এসব কাহিনি পড়ে পাঠক অন্য এক ভুবনে বিচরণের আস্বাদ পাবেন।
শামীমা নাসরিন
শামীমা নাসরিন। জন্ম ১লা সেপ্টেম্বর ১৯৬৪ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানার পূর্ব গোমদণ্ডীর বিখ্যাত এবং বনেদি কাজী আব্দুল হাকিমের পরিবারে। ব্যাংক কর্মকর্তা বাবা এবং সাহিত্যানুরাগী মায়ের সন্তান শামীমা নাসরিন চার ভাই দুই বোনের সর্বকনিষ্ঠা। পাঠের বিষয়বস্তু অর্থনীতি হলেও মাতৃসূত্রে পাওয়া সাহিত্যের প্রতি গভীর আকর্ষণ তাকে ছোটবেলা থেকে তাড়িয়ে বেড়িয়েছে। এই তাড়না থেকেই বিভিন্ন সময় স্কুল এবং কলেজের বিভিন্ন প্রকাশনায় তিনি লেখালেখি করে গেছেন। পেশায় গৃহিণী শামীমা নাসরিন সাংসারিক দায়বদ্ধতায় বেশ কিছুদিন লেখালেখির জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকলেও জীবনের বিশেষ বিশেষ মুহূর্তগুলি স্মরণীয় করে রাখার তাগিদে আবার কলম ধরলেন জলতরঙ্গ উপন্যাসটির মাধ্যমে। এই লেখাটির মাধ্যমে তিনি একটি বৃহত্তর পরিবারের উত্থান-পতনের পাশাপাশি অখণ্ড ভারতবর্ষের ইতিহাস এবং আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসও তুলে ধরেছেন।