প্রায় তিন দশক ধরে লেখালেখি করে যাচ্ছেন ঝংকার মাহবুব। যদিও তার লেখালেখির পুরােটাই গেছে পরীক্ষার খাতায়, পাস নম্বরের আশায়।
তবে লেখালেখি করে আজ পর্যন্ত ফুটা পয়সা কামাই করতে না পারলেও ক্লাস সেভেনে থাকা অবস্থায় স্ট্যান্ডআপ কমেডি প্রতিযােগিতায় সেকেন্ড হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন। হাড্ডাহাড়ি সেই লড়াইয়ে প্রতিযােগী ছিল তিনজন। যাদের মধ্যে একজন ছিল অনুপস্থিত।
এ ছাড়া নবম শ্রেণিতে পড়ার সময়, উচ্চতা কম হওয়ার সুবিধায়, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বালকদের সাথে জুনিয়র। ক্যাটাগরিতে মােরগ লড়াইয়ে নেমেছিলেন তিনি। সেই লড়াইয়ে বড় ক্লাসের ভাই হিসেবে দেখানাে সম্মানকে পুঁজি করে, শেষ তিনজন পর্যন্ত পাশ কাটিয়ে টিকতে পেরেছিলেন। তারপর বাকি দুজন বড় ভাইয়ের সম্মানের মাথামুণ্ডু খেয়ে, ওনাকে কনুই দিয়ে গুঁতা মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। তখন লুঙ্গির কাছা সামলিয়ে উঠে দাঁড়াতে না পারলেও ততক্ষণে মােরগ লড়াইয়ে তৃতীয় হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। আর পুরস্কার হিসেবে পেয়েছিলেন লাল রঙের সাবানের কেইস।।
বুয়েট থেকে পাস করে, নর্থ ডেকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার্স করে বর্তমানে আমেরিকার শিকাগাে শহরে সিনিয়র ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি।
চমক হাসান
চমক হাসানের জন্ম ২৮ জুলাই, ১৯৮৬ কুষ্টিয়ায়। বাবা আহসানুল হক মা নওরাজিস আরা জাহান। এইচএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া কুষ্টিয়াতেই। এরপর বুয়েট থেকে তড়িৎকৌশলে স্নাতক এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ক্যারােলাইনা থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। বর্তমানে গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছেন বােস্টন সায়েন্টিফিক করপােরেশন’-এ। স্ত্রী ফিরােজা বহ্নি এবং কন্যা বিনীতা বর্ণমালার সঙ্গে থাকেন ক্যালিফোর্নিয়ার সান্টা ক্লারিটা শহরে।
তার ভালাে লাগে গাইতে পড়তে শিখতে শেখাতে। চমক হাসান আশাবাদী মানুষ স্বপ্ন দেখেন আলােকিত ভবিষ্যতের যখন এ দেশের ছেলেমেয়েরা আনন্দ নিয়ে লেখাপড়া করবে প্রশ্ন করতে ভয় পাবে না মুখস্থ করে পাস করবে না । ওরা অনুভব করবে কেন কীভাবে কী হচ্ছে! গণিত অলিম্পিয়াড শুরুর সাথে সাথে এই আন্দোলনটাও শুরু হয়ে গেছে। তিনি সেই আন্দোলনের একজন কর্মী। গণিত অলিম্পিয়াডের একাডেমিক দলে প্রশিক্ষক প্রশ্নপ্রণেতা ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করেছেন বেশ কিছুদিন। পাঠকের যেকোনাে মন্তব্য তার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।